চোপড়ার ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মসিরুদ্দিন বললেন, "আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে দেখেছি তো, কীভাবে বন্দুকহাতে খুল্লামখুল্লা ঘুরে বেড়াচ্ছে ওরা। পুলিশ সামনে থেকে দাঁড়িয়ে দেখেছে। কেবল জেসিবি-কে দোষ দিলেই হবে না। জেসিবির সঙ্গে বুলডোজার আছে, রোলার-ট্রাক্টর রয়েছে। "


রাইফেল-বন্দুক হাতে প্রকাশ্যে জেসিবি গ্যাঙের ছবি, পাশে লুঙ্গি পরে বসে বিধায়কও! চোপড়াকাণ্ডে তুঙ্গে বিতর্ক
জেসিবি গ্যাঙ (কংগ্রেসের প্রকাশ করা ছবি)


চোপড়া: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে রাস্তায় ফেলে এক যুবককে ‘তালিবানি কায়দায়’ মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন চোপড়ার ষণ্ডা মার্কা তৃৃণমূল নেতা জেসিবি ওরফে তাজমুল। কিন্তু এখনও ভয়ে কাঁপছে চোপড়া। কারণ বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে জেসিবি গ্যাঙ। কেবল জেসিবি নয়, বন্দুক রাস্তায় দাপাদাপি করে বুলডোজার, রোলাররাও, এমনটাই দাবি কংগ্রেসের। প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু ছবি। যেখানে জেসিবি গ্যাঙের সদস্যদের বন্দুক, রাইফেল হাতে দেখা যাচ্ছে। বিধায়ক হামিদুল রহমানের সঙ্গে জেসিবি গ্যাঙের ছবিও প্রকাশ্যে এনেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের আরও দাবি, জেসিবি গ্যাঙের মাথায় হাত রয়েছে খোদ বিধায়কের।


চোপড়ার ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মসিরুদ্দিন বললেন, “আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে দেখেছি তো, কীভাবে বন্দুকহাতে খুল্লামখুল্লা ঘুরে বেড়াচ্ছে ওরা। পুলিশ সামনে থেকে দাঁড়িয়ে দেখেছে। কেবল জেসিবি-কে দোষ দিলেই হবে না। জেসিবির সঙ্গে বুলডোজার আছে, রোলার-ট্রাক্টর রয়েছে। ”

একই কথা বলছে বিজেপিও। বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, “শুধু চোপড়া কেন, রাজ্যের একাধিক প্রান্তে একই পরিস্থিতি। সারা বাংলায় অসংখ্য গ্যাঙ তৈরি হচ্ছে। তাদের লালন পালন করা হচ্ছে।”


প্রসঙ্গত, যখন চোপড়ার ভাইরাল ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে, শোরগোল পড়ে যায় গোটা বাংলায়। সেই পরিস্থিতিতে প্রথমেই ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিধায়ক হামিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেছিলেন, “শুনেছি, জেসিবিদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।” ঘটনায় ‘তিলকে তাল করা হচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রবিবার বিকালেই আবার সাংবাদিক বৈঠক করেন হামিদুল। তখন তিনি আবার বলেন, “দোষ তো মহিলারাও, স্বামী-সন্তান রয়েছে, অন্য পুরুষের সঙ্গে চলে গিয়েছে। ওঁ দুশ্চরিত্র।” তা নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়ে। রবিবার রাতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ জেসিবি-কে গ্রেফতার করে। এরপর বিধায়ক হামিদুল বলেন, “দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছিল, তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

ঘটনায় তৃণমূলের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বিধায়ক হামিদুল রহমানকে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, জেসিবি তো গারদে। কিন্তু ময়দানে রয়েছেন তাঁর ভাই গির আলম। জেসিবি-র ভাই ও তাঁর শাকরেদরা এখন গ্রামে ত্রাস। কারা ভিডিয়ো ভাইরাল করেছে, সেই সন্দেহে বাড়ি বাড়ি ভেঙে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours