মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যখন শিক্ষকদের চাকরি গেল, তার আগেই বাবুমশাই বললেন, বোমা ফাটাব। তারপরই ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি ছাঁটাই। আমি ওই ছেলেমেয়েগুলোর পাশে রয়েছি। আজ আমি খুশি।"
মেদিনীপুরের সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি, ২৬ হাজার ছেলেমেয়ে মুখ খুললেই সত্যিটা বেরিয়ে পড়বে: মমতা
তমলুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তমলুক: ‘মেদিনীপুরের সংখ্যাটা কিন্তু সবচেয়ে বেশি…’ তমলুকের সভায় দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তমলুকে মমতার সভার আদ্যোপ্রান্ত জুড়ে ছিল একটাই শব্দবন্ধ। ‘গদ্দার’। আর এই শব্দ বলেই নাম না করে অধিকারী গড়ে বিঁধে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ খোলেন হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরিহারাদের নিয়েও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যখন শিক্ষকদের চাকরি গেল, তার আগেই বাবুমশাই বললেন, বোমা ফাটাব। তারপরই ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি ছাঁটাই। আমি ওই ছেলেমেয়েগুলোর পাশে রয়েছি। আজ আমি খুশি।” এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে হাইকোর্ট যেদিন এই রায় দিয়েছিল, ঠিক তার দুদিন আগেই মালদহের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আগামী সপ্তাহের শুরুতেই বোমা ফাটবে, তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে।” আর হাইকোর্টের এই নজিরবিহীন নির্দেশের পর রাজনৈতিক মহলেও ‘বোমা ফাটার’ বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা তৈরি হয়।
এদিন সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই মমতা বলেন, “এই ২৬ হাজার ছেলেমেয়ে মুখ খুলছে না, পাছে সত্যিটা বেরিয়ে পড়ে। কার কাছ থেকে কে কত নিয়েছেন, তাঁরা যদি একবার বলে দেন। মেদিনীপুরে কিন্তু সংখ্যাটা বেশি। কিচ্ছু না চুপচাপ আমাকে বলে দেবেন, আমি আপনাদের কারোর ক্ষতি করতে দেব না। আপনাদের জেলায় চাকরিখেকো বাঘ রয়েছে।”
তবে আজ নয় তো কাল, তিনি এর বদলা নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে মমতা এটাও বলে রাখেন, “চিরকাল ইডি-সিবিআই-ইনকাম ট্যাক্স কোলে রেখে দেবে না। একদিন না একদিন উপযুক্ত জায়গায় পড়বেন। যাঁরা করেছেন, তাঁদের বলছি, ঈশ্বর থাকলে বুঝতে পারবেন।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours