ওই বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এই আন্দোলন এত দিন টিকে আছে কেন? তিনটে ছেলে এ দিক-ও দিক যাচ্ছে, গোটা বিষয়টি পরিচালনা করছে। শুভেন্দুর আমাদের উপরে আস্থা আছে। শুভেন্দু এক বার ঘুরে গিয়েছে, তাতেই আন্দোলন এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’


 '২ হাজার টাকা করে দিয়ে বিক্রি হচ্ছে মহিলাদের সম্ভ্রম', সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়ো দেখিয়ে দিল্লিতে বৈঠক তৃণমূলের
সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল


নয়া দিল্লি: টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে মহিলাদের সম্ভ্রম। সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে বিজেপিকে নিশানা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষের। গোটা ঘটনাকে সাজানো ও বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তৃণমূলের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকেও নিশানা করা হয়েছে। শশী পাঁজা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। ধর্ষণের অভিযোগ নোংরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।” তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, “ভাইরাল ভিডিয়োই প্রমাণ করছে কী ধরনের নোংরা রাজনীতি চলছে। মহিলাদের ২০০০ টাকা করে দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে।” বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, “সরকার বিরোধী চক্রান্ত হয়েছে। নারী নির্যাতনের মিথ্যা গল্প প্রমাণীত। বাংলার পাঁচ কোটি মহিলাকে অপমান করেছে বিজেপি। সন্দেশখালির মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাকে নষ্ট করার চেষ্টা চলেছে।”


সন্দেশখালির স্থানীয় একটি বিজেপির নেতার বক্তব্য ঘিরে এখন শোরগোল রাজনীতি। সন্দেশখালিকে নতুন করে জাতীয় স্তরে নিয়ে গিয়েছে। গোপন ক্যামেরায় তোলা হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ওই ভিডিয়োটিতে গঙ্গাধর নামে ওই বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এই আন্দোলন এত দিন টিকে আছে কেন? তিনটে ছেলে এ দিক-ও দিক যাচ্ছে, গোটা বিষয়টি পরিচালনা করছে। শুভেন্দুর আমাদের উপরে আস্থা আছে। শুভেন্দু এক বার ঘুরে গিয়েছে, তাতেই আন্দোলন এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’

ভিডিয়োতে এটাও দেখা গিয়েছে, এক প্রশ্নকর্তা, (যিনি ক্যামেরার ওপাশে ছিলেন) গঙ্গাধরকে প্রশ্ন করছেন, ‘‘দাদা, তোমরা কী লেভেলের কাজ করেছ, বুঝতে পারছ? ধর্ষণ হয় নাই, তাকে ধর্ষণ বলে চালিয়েছ! তোমার বাড়ির বৌকে দিয়ে এই কাজ করাতে পারতে? আমরা তো পারব না।’ তাতে গঙ্গাধরকে সম্মতিসূচক হাসতে দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়োটিকেই এখন হাতিয়ার করেছে তৃণমূল।


যদিও এই ভিডিয়ো নিয়ে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, “আইপ্যাক দিয়ে এসব করানো হচ্ছে। ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনেও লোক ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। বিভ্রান্তি ছড়াতেই আইপ্যাক দিয়ে এসব করানো হচ্ছে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours