মঙ্গলবার তাঁদের ধৃতদের বসিরহাট আদালতে পেশ করে সিবিআই। সওয়াল জবাবের সময়ে সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, ইডি-র ওপর হামলার ঘটনার পিছনে ও শাহজাহানকে পালাতে সাহায্য করেছিল ফারুক আকুঞ্জি।
শেখ শাহজাহানকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন কে? এতদিনে নাম ফাঁস করল সিবিআই, সঙ্গে ভিডিয়োও
শেখ শাহজাহান
বসিরহাট: ৫৫ দিন ‘গায়েব’ ছিলেন। ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তা নিয়েই ধুন্ধুমার কাণ্ড। আর সেদিন থেকেই টানা ৫৫ দিন খোঁজ পাওয়া যায়নি শেখ শাহজাহানকে। তাঁকে সেদিন পালাতে সাহায্য করেছিলেন কে? এবার প্রকাশ্যে এল সেই নাম। মঙ্গলবার বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সন্দেশখালিরই বাসিন্দা ফারুক আকুঞ্জি, ইয়াউদ্দিন মোল্লা ও দিদার বক্সকে।
সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সোমবারই তাঁদের নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়। ডাকা হয় শাহজাহানের পরিবারের সদস্যদেরও। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাহজাহানের ডান হাত বলে পরিচিত সরবেড়িয়া-আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা। কথায় অসঙ্গতি থাকায় জিয়াউদ্দিন মোল্লা, ফারুক আকুঞ্জি, দিদার বক্সকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
মঙ্গলবার তাঁদের ধৃতদের বসিরহাট আদালতে পেশ করে সিবিআই। সওয়াল জবাবের সময়ে সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, ইডি-র ওপর হামলার ঘটনার পিছনে ও শাহজাহানকে পালাতে সাহায্য করেছিল ফারুক আকুঞ্জি। আদালতে CBI আরও দাবি করে, ওই দিনের ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন জিয়াউদ্দিন মোল্লা ও দিদার বক্স।
ইডির ওপরে হামলার জন্য লোকজন জোগাড় করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওই দুজনই জড়িয়ে ছিলেন বলে সিবিআই দাবি করে। আর তার স্বপক্ষে সিবিআই-এর হাতে বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ এসেছে বলেও এদিন আদালতে দাবি করে সিবিআই।
সূত্রের খবর, এই ফারুক আকুঞ্জির বাড়ি আদতে শেখ শাহজাহানের বাড়ির পাশেই। জানা যাচ্ছে, এই ফারুক আকুঞ্জির বাড়িকে সপরিবারে আত্মগোপন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours