ওই যুবতী বিভিন্ন প্রোফাইল ঘেঁটে ওই সঞ্চালকের আসল নম্বর খুঁজে বের করেন। তাঁকে মেসেজ করে জানান যে অচেনা এক ব্যক্তি তাঁর ছবি ব্যবহার করে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগও জানান ওই অ্যাঙ্কর। এইসবের পরও কিন্তু ওই যুবতী থামেননি।

ম্যাট্রিমনি সাইট থেকে পরিচয়, বিয়ে করতে 'অ্যাঙ্কর'কেই অপহরণ করল যুবতী!
অপহৃত সঞ্চালক ও অপহরণকারী যুবতী।

হায়দরাবাদ: ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে ফাঁদ। রাতারাতি অপহৃত হয়ে গেলেন টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক। কাণ্ড ঘটিয়েছেন একজন ব্যবসায়ী যুবতী। অভিযোগ, ওই সঞ্চালককে দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্টক’ করছিল যুবতী। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে পরিচয় করার পর ওই সঞ্চালকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। নজরদারি রাখতে ওই সঞ্চালকের গাড়িতে জিপিএস ট্রাকিং ডিভাইসও বসান।


চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। টিভি মিউজিক চ্যানেলের এক অ্যাঙ্কর বা সঞ্চালককে অপহরণ করেন বছর একত্রিশের এক যুবতী। জানা গিয়েছে, ডিজিটাল মার্কেটিং-র ব্যবসা রয়েছে ওই যুবতীর। একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটেই তিনি প্রথম ওই সঞ্চালককে দেখেন। তাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। প্রায় দুই বছর ধরে কথাবার্তা হয় তাদের মধ্যে। এরপরে একদিন যুবতী বুঝতে পারেন যে যার সঙ্গে কথা বলছেন তিনি ওই সঞ্চালক নন। বরং তাঁর ছবি ব্যবহার করে অন্য কেউ কথা বলছিলেন।

এরপরে ওই যুবতী বিভিন্ন প্রোফাইল ঘেঁটে ওই সঞ্চালকের আসল নম্বর খুঁজে বের করেন। তাঁকে মেসেজ করে জানান যে অচেনা এক ব্যক্তি তাঁর ছবি ব্যবহার করে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগও জানান ওই অ্যাঙ্কর। এইসবের পরও কিন্তু ওই যুবতী থামেননি। টিভির সঞ্চালককে টানা মেসেজ করতে থাকেন। বাধ্য হয়েই অ্যাঙ্কর যুবতীর নম্বর ব্লক করে দেন।


কথা বলতে না পেরেই যুবতী ওই অ্যাঙ্করকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। অপহরণ করে এনে তাঁকে বুঝিয়ে বিয়ে করার চিন্তাভাবনা ছিল ওই যুবতীর। অ্যাঙ্করের গতিবিধির উপরে নজর রাখার জন্য তাঁর গাড়িতে ট্র্যাকিং ডিভাইসও বসান।

যুবতীর নির্দেশেই গত ১১ ফেব্রুয়ারি চার ব্যক্তি ওই যুবককে অপহরণ করেন। মারধর করে ওই যুবককে নিয়ে যান ওই যুবতীর অফিসে। ভয়ে ওই টিভি অ্যাঙ্কর যুবতীর শর্তে রাজিও হয়ে যান। তারপর ওই যুবতী তাঁকে ছেড়ে দেয়।

এরপরই ওই অ্যাঙ্কর উপল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ (অপহরণ), ৩৪১ (অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়া), ৩৪২ (জোর করে আটকে রাখা) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে। যে চারজনকে সুপারি দিয়ে ওই অ্যাঙ্করকে অপহরণ করানো হয়েছিল, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours