দ্বিতীয়ার্ধের জন্য আরও বড় চমক রেখেছিলেন ক্লেটন সিলভা। এ বারের আইএসএলে এমনটা আগেও দেখা গিয়েছিল। সুপার কাপেও। জিততে গেলে গোল করতে হবে। ক্যাপ্টেনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে, এ আর নতুন কী! ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। ক্যাপ্টেন ক্লেটন সিলভাই ফ্রি-কিক নেন। ডান পায়ের ফ্রি-কিকে সরাসরি গোলে ২-১ ব্যবধানে দলকে এগিয়ে দেন ক্লেটন। জোড়া গোল ক্যাপ্টেনের। ছবির মতোই ফ্রি-কিক।

 ৫ গোলের রোমাঞ্চে ক্লেটনের ২, জয় দিয়ে সুপার কাপ শুরু ইস্টবেঙ্গলের


সুপার কাপের শুরুটা হল সুপার্ব। ফুটবলপ্রেমীদের জন্য রোমাঞ্চকর হলেও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য স্নায়ুর চাপের। তিন বার এগিয়ে অবশেষে জয়। গোল করলেও ধরে রাখা যাচ্ছিল না। যা ক্রমশ অস্বস্তি তৈরি করে লালহলুদ শিবিরে। এর আগের তিন ম্যাচে (ইন্ডিয়ান সুপার লিগে) গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। অবশেষে গোল এল, তবে সেটা সুপার কাপে। এল তিনটি গোল। চাপের মুহূর্ত তবুও যেন কাটছিল না। ভারতীয় প্লেয়ারদের নিয়ে গড়া দল নিয়েই চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স হায়দরাবাদ এফসির। শেষ অবধি ৩-২ ব্যবধানে স্বস্তির জয় ইস্টবেঙ্গলের। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


সুপার কাপে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি আইএসএলের দুই ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও হায়দরাবাদ এফসি। নানা চেষ্টার পর প্রথম লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। তার আগে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট হয়। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে নন্দকুমার বল ছাড়েন রাকিপকে। তাঁর ক্রস থেকে বাঁ পায়ের ভলিতে চোখ ধাঁধানো গোল ক্যাপ্টেন ক্লেটন সিলভার। হায়দরাবাদ এফসি গোলরক্ষক কাট্টিমনি দর্শকের ভূমিকায়। মাঠে ইস্টবেঙ্গলের প্রচুর সমর্থক। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে যেন ‘হোম’ ম্যাচের স্বাদ।

লিড নেওয়ার স্বস্তি অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হল না। সাময়িক চিন্তায় পড়ে ইস্টবেঙ্গল। ফিজিও মাঠে আসেন ক্লেটন সিলভার জন্য। যদিও চোট গুরুতর না হওয়ায় চিন্তা কমে লাল হলুদ শিবিরে। এ বার অন্য চিন্তা। প্রথমার্থের শেষ মুহূর্তে লিড হারায় ইস্টবেঙ্গল। মহম্মদ রফির পাস থেকে গোল করেন রামলুনচুঙ্গা হামার। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের মনোসংযোগের অভাবেই এই গোল। মহম্মদ রাকিপ এক্ষেত্রে আরও একটু এফোর্ট দিতে পারতেন। ১-০ লিড কখনও সুরক্ষিত নয়। সমতা ফিরিয়ে বুঝিয়ে দিল হায়দরাবাদ এফসি। ১-১ স্কোরলাইনেই বিরতিতে দু-দল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours