অভিষেকের ব্যাখ্যা, যে পরিশ্রম একজন ৪০ বছরের মানুষ করতে পারেন, সেটা বয়স বাড়লে আর করা সম্ভব নয়। তবে ঠিক কোন ক্ষেত্রে বয়সের কত ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

 বয়সের 'ঊর্ধ্বসীমা'র গুরুত্ব বুঝিয়েছেন অভিষেক, কী বললেন সুদীপ?
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়

কলকাতা: দলের বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে অন্যতম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী হিসেবে মেনেই দলের কাজ করে এসেছেন। তবে সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিকদের বয়স নিয়ে। বয়স বাড়লে কর্মক্ষমতা যে কমে যায়, সে কথাই উল্লেখ করেছেন তিনি। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকা দরকার বলেই মনে করেন তিনি। দলের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, ষাটোর্ধ্ব নেতা-নেত্রীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।


মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুদীপ বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত এবং অভিমত মেনে চলি। যদি দল এরকম কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে দলের সকলকেই মেনে চলতে হবে।”

সোমবার কার্শিয়াং যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, “দলে প্রবীণদের প্রয়োজন। তবে বয়সের ঊর্ধ্বসীমাও থাকা দরকার।” তাঁর ব্যাখ্যা, যে পরিশ্রম একজন ৪০ বছরের মানুষ করতে পারেন, সেটা বয়স বাড়লে আর করা সম্ভব নয়। তবে ঠিক কোন ক্ষেত্রে বয়সের কত ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি।


অভিষেকের এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন আর এক বর্ষীয়ান নেতা মদন মিত্র। তিনি মনে করেন, বয়স বাড়লে সামনে থেকে লড়াই করার ক্ষমতা চলে যায়, ফলে পিছনে থেকে কাজ করতে পারেন তাঁরা। উল্লেখ্য, মদন, সুদীপ ছাড়াও দলের শীর্ষস্তরে রয়েছেন অনেক বয়স্ক নেতা। রয়েছেন, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়ের মতো নেতারা শাসক দলের অন্যতম মুখ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours