সোমবার রাতেই ৬ ইঞ্চি ডায়ামিটারের একটি পাইপ সুড়ঙ্গের ভিতর ঢোকানো হয়েছে। তারপর রাতেই ওই পাইপের মধ্য দিয়ে বোতলে গরম খিচুড়ি ভরে শ্রমিকদের পাঠানো হয়। সেটির মাধ্যমেই খাবার, ওয়াকিটকির সঙ্গে ঢোকানো হয়েছে একটি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের ছবি ও ভিডিয়ো।

 খানিক স্বস্তি! উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এল
নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের প্রথম ছবি।

দেরাদুন: খানিক স্বস্তি! অবশেষে প্রকাশ্যে এল উত্তরকাশীর (Uttarkashi) নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি ও ভিডিয়ো। সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার ১০ দিনের মাথায় মঙ্গলবার সকালেই প্রথম আটক শ্রমিকদের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে এবং শ্রমিকের সুরক্ষিত রয়েছে বলে টুইট করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Uttarakhand CM) পুষ্কর সিং ধামি।



ভিডিয়োতে কী দেখা যাচ্ছে?

পাইপলাইনে পাঠানো ক্যামেরায় সুড়ঙ্গের ভিতর আটক শ্রমিকদের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সুড়ঙ্গের ভিতর হাত নাড়ছেন শ্রমিকেরা। একে-অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রত্যেকের মাথায় রয়েছে হলুদ রঙের হেলমেট। যা দেখে আপাতভাবে মনে হচ্ছে, শ্রমিকেরা আপাতত সুস্থই আছেন।


সোমবার রাতেই ৬ ইঞ্চি ডায়ামিটারের একটি পাইপ সুড়ঙ্গের ভিতর ঢোকানো হয়েছে। তারপর রাতেই ওই পাইপের মধ্য দিয়ে বোতলে গরম খিচুড়ি ভরে শ্রমিকদের পাঠানো হয়। সেটির মাধ্যমেই খাবার, ওয়াকিটকি, ফোন চার্জারের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে একটি ক্যামেরা। Endoscopic Flexi Camera পাইপ লাইনের মধ্যে দিয়ে ঢোকানো হয়েছে। এদিন ভোরে সেই ক্যামেরাতেই সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের ছবি ও ভিডিয়ো ধরা পড়েছে। গোটা বিষয়টির উপর নজদরদারি রেখেছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। তিনি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ফোন করে উদ্ধারকাজের বিষয়ে খোঁজও নিয়েছেন তিনি। তারপর উদ্ধারকাজে গতি আরও বাড়ে। আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করতে পঞ্চবাণ নেওয়া হয়। অর্থাৎ ৫টি বিকল্প পথে শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। যার মধ্যে এদিন দুপুর ২টো থেকেই ভার্টিক্যালি ড্রিলিং করার কাজ শুরু হবে।

সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে বলে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি লেখেন, “উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ চলছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ৬ ইঞ্চি ডায়ামিটারের পাইপলাইন সুড়ঙ্গের ভিতরে পাঠানো হয়েছে। এখন তার মধ্য দিয়ে খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী সহজেই কর্মীদের কাছে পাঠানো যাবে।” কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রাজ্য প্রশাসনের উদ্ধারকারী দল অক্লান্তভাবে এই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সকল শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালাচ্ছি।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours