প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে না পেরে শেষে প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রতিমন্ত্রীর তরফে সাফ জানানো হয়, ৫ থেকে ৬ প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে প্রথমে তাতে সায় দেওয়া হলেও কৃষি ভবনে ঢুকে বদলে যায় কৌশল।


নয়া দিল্লি: এদিন কৃষি মন্ত্রকের ভিতরে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) হাতে আটক তৃণমূলের (Trinamool Congress) সমস্ত প্রতিনিধি। আটক করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। রাত ৯টা নাগাদ তাঁদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। টেন-হিঁচড়ে তোলা হয় পুলিশ ভ্যানে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। কিন্তু, কোথায় নিয়ে যাওয়া হল অভিষেকদের? 


সূত্রের খবর, আটক করার পর তৃণমূল নেতৃত্বকে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলত সেখানে তাঁদের দাবি কী থাকবে, সারারাত কি সেখানে থাকতে হবে? এই প্রশ্ন উঠছে। এদিকে বাংলা থেকে যে সমস্ত তৃণমূল নেতারা এসেছেন তাঁদের একটা বড় অংশ আবার এখন রয়েছেন আম্বেদকর ভবনে। এখন অভিষেক আটক হওয়ার পরে তাঁদের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। 

প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে না পেরে শেষে প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রতিমন্ত্রীর তরফে সাফ জানানো হয়, ৫ থেকে ৬ প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে প্রথমে তাতে সায় দেওয়া হলেও কৃষি ভবনে ঢুকে বদলে যায় কৌশল। এদিন কৃষি ভবনে যাওয়ার পর তৃণমূলের তরফে সাফ জানানো হয় তাঁদের ৪০ জন প্রতিনিধির সঙ্গেই দেখা করতে হবে মন্ত্রীকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তৃণমূল শুরু থেকেই কৌশল ছিল তাঁদের অবস্থান বা উপস্থিতি বোঝানো নয়, তাঁদের সঙ্গে যে সমস্ত জবকার্ড হোল্ডারদের তাঁরা নিয়ে গিয়েছেন তাঁদের মুখ দিয়ে বঞ্চনার কথা মন্ত্রীকে শোনানো। কিন্তু, মন্ত্রী তাঁদের দাবি না রেখে বেরিয়ে যান মন্ত্রক থেকে। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিষেক, শান্তনু, দোলা, মহুয়ারা। 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours