চটপটে ছেলেটা আজ বড় শান্ত হয়ে গিয়েছে, এখন আর তার শারীরিক ক্ষমতা নেই। অসুস্থ শরীর নিয়ে শুয়ে কাটছে তার দিন, কিন্তু কেন প্রশ্ন করতে চোখ দিয়ে গড়ে এলো জল।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথর প্রতিমা থানার ব্রজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর গোবিন্দপুর আবাদ পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা চার বছর নয় মাসের সুদীপ মণ্ডল, খেলাধুলা পড়াশোনা এমনকি তবলাও বাজাতে পারতো কিন্তু আজ বড় নীরব হয়ে গেছে সে। মাস দুই আগে খেলতে খেলতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সুদীপ। এরপর পরিবারের লোকজন স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রথমে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এবং পরে কলকাতা বড় বড় হাসপাতালে তাকে দেখানো হয়। আর এইভাবেই সেদিন থেকে তার বাবা ও মা একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সর্বশেষ কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিকেল হাসপাতালে সুদীপের চিকিৎসা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তারা জানতে পারেন SSBE রোগে আক্রান্ত তাদের সন্তান। ভিনরাজ্যে নিয়ে গিয়ে সন্তানের চিকিৎসা করিয়েছেন বাবা-মা। আর সেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাড়ির প্রায় সর্বশক্তি বিক্রি করতে হয়েছে মন্ডল পরিবারকে। সুদীপের বাবা সুভাষ মন্ডল পেশায় একজন কাঠের মিস্ত্রি। তাই ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে অসহায় পড়েছেন সুভাষ বাবু। চিকিৎসরা জানিয়েছেন সুদীপকে ভিনরাজ্যে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু কিভাবে ছেলের চিকিৎসা হবে টাকা কথা থেকে আসবে? তা জানা নেই মন্ডল পরিবারের তবে ছেলেকে বাঁচাতে হলে ভিনরাজ্যে ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে সুদীপের চিকিৎসরা। এই পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুদীপের বাবা সুভাষ বাবু।
অল্প বয়স থেকেই সুদীপ পড়াশোনা পাশাপাশি তবলা বাজাতে ভালোবাসে কিন্তু আজ আর মন্ডল পরিবারের তবলা বাজে না শোনা যায় না সুদীপের গুনগুন শব্দ বর্তমানে সুদীপ অসুস্থ। নিশ্চিত একদিন সুদীপ সবার আশীর্বাদে সুস্থ হয়ে আবারো মায়ের কোলে ফিরবে। আবারো মন্ডল পরিবারে শোনা যাবে তবলা বাজানো শব্দ আবারো শোনা যাবে সুদীপের বই পড়ার গুন গুন শব্দ। এমনটাই কামনা করে মন্ডল পরিবার।
স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার
Post A Comment:
0 comments so far,add yours