পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে কোনও ধারাল অস্ত্রের খোঁজ মেলেনি। তবে ভাঙা কাঁচের বোতল এবং গ্লাস পাওয়া গিয়েছে। রাস্তায় সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশের নজরে। তদন্তে নামছে ফরেনসিক টিমও। খুব পরিচিত কারও এই কাজ বলে মনে করছে পুলিশ। তবে তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে।
Salkia: দুপুর থেকে ঘরে বন্ধুর সঙ্গে মদ্যপান, রাতে বাড়ির লোক দরজা ঠেলতেই আরেক দৃশ্য...
হাওড়ায় প্রৌঢ়ের মৃত্যু।
হাওড়া: হাওড়া পুরনিগমের এক কর্মচারীর রহস্যমৃত্যু। শনিবার রাতে সালকিয়ায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় (৫০) ওরফে মধুর রক্তাক্ত দেহ। এদিকে বাড়ির লোকজনের দাবি, শনিবার দুপুরে শঙ্খর ঘরে তাঁর এক বন্ধু আসে। সারাদিন সেই বন্ধুর সঙ্গেই আড্ডা দেন। সঙ্গে ছিল মদ্যপানের ব্যবস্থাও। রাতে সেই ঘরেই রক্তে ভাসছিলেন শঙ্খ। পাশে পড়েছিল ভাঙা গেলাস, মদের ভাঙা বোতলও। এই মৃত্যুর পরতে পরতে রহস্য দানা বেঁধেছে। তদন্ত শুরু করেছে মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ। একইসঙ্গে তদন্ত করছে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও।
শঙ্খর আত্মীয়রা জানান, শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ শঙ্খ নিজেই এক বন্ধুকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। দুই বন্ধু মিলে দুপুরে বেশ হইহই করে খাওয়া দাওয়াও করেন। এরপর মদ্যপান শুরু করেন তাঁরা। বাড়ির লোকেরা সন্ধ্যাবেলাও তাঁদের একসঙ্গে বসে মদ্যপান করতে দেখেছেন। রাত তখন প্রায় ১০টা। শঙ্খর দাদা দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন।
অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে ভাইয়ের ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখেন দরজা ভেজানো। এরপরই তিনি দরজা ঠেলতে দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন। শঙ্খ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। এরপরই মালিপাঁচঘড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। বাড়ির লোকেরা জানান, তাঁর গলায় এবং দেহের অন্যান্য অংশে গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। দেহ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্যই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে কোনও ধারাল অস্ত্রের খোঁজ মেলেনি। তবে ভাঙা কাচের বোতল এবং গ্লাস পাওয়া গিয়েছে। রাস্তায় সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশের নজরে। তদন্তে নামছে ফরেনসিক টিমও। খুব পরিচিত কারও এই কাজ বলে মনে করছে পুলিশ। তবে তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে। কী কারণে এই খুন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours