হ্যাজলউডের চোখ বুজে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার অভিব্যক্তিতেই যেন বোঝা গিয়েছিল, এ বার জয় সময়ের অপেক্ষা। ২১৪ বলে ১৫৫ রানে ফেরেন বেন স্টোকস।

ENG vs AUS, Ashes: স্টোকসের মহাকাব্যিক ইনিংসেও হেডিংলি মিরাকল হল না, অস্ট্রেলিয়া ২-০

মহাকাব্যিক বললেও কম হয়। কেরিয়ারে এমন অনেক ইনিংস খেলেছেন বেন স্টোকস। তবে লর্ডসের ইনিংসটা যেন খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো। তিনি পারলেন, দল পারল না। হেডিংলির স্মৃতি ফিরল না লর্ডসে। বেন স্টোকস মহাকাব্যিক ইনিংস খেললেও জিতল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাসেজে ২-০ লিডও নিলেন প্যাট কামিন্সরা। বিস্তারিত জেনে -এর এই প্রতিবেদনে।


এজবাস্টন টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিং করেছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। লর্ডসেও চতুর্থ দিন থেকেই অ্যাডভান্টেজে ছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও বেন স্টোকস ম্যাচের রং পাল্টে দিচ্ছিলেন। চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্য ছিল ৩৭১ রান।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিনের শেষে ক্রিজে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ছিলেন বেন ডাকেট ও বেন স্টোকস। বেন ডাকেটের আউটে পঞ্চম দিন প্রথম সেশনে জুটি ভাঙে। ১৩২ রান যোগ করে ডাকেট-স্টোকস জুটি। বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি বড় না হলেও স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে ১০৮ রান যোগ করেন স্টোকস। কিন্তু তাঁর আউটেই হাল ছেড়ে দেয় ইংল্যান্ড শিবির।


কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে ফেরেন স্টোকস। জশ হ্যাজলউডের বোলিংয়ে মিস হিট। উঁচুতে ওঠা ক্যাচ নেন অ্যালেক্স ক্যারি। হ্যাজলউডের চোখ বুজে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার অভিব্যক্তিতেই যেন বোঝা গিয়েছিল, এ বার জয় সময়ের অপেক্ষা। ২১৪ বলে ১৫৫ রানে ফেরেন বেন স্টোকস। ৯টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি। স্টোকস আউট হওয়ার সময় ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল আরও ৭০ রান। হাতে মাত্র তিন উইকেট। স্টোকসকে ধরে পরপর তিন ওভারে তিন উইকেট। জশ টং-জেমস অ্যান্ডারসনের শেষ উইকেট জুটি ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন। মিচেল স্টার্কের ইয়র্কার জশ টংয়ের উইকেট ভাঙতেই ৪৩ রানে জয় অস্ট্রেলিয়ার
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours