স্বপন আর দীপক কেউই বেঁচে নেই, ধরে নিয়েই ওড়িশা গিয়েছিলেন তাঁরা। স্বপনের দেহ মিললেও দীপকের খোঁজ পেতে সব হাসপাতালের মর্গে যান আত্মীয়রা।
Odisha Train Accident: ওড়িশার মর্গ থেকে 'উধাও' আলিপুরদুয়ারের দীপকের দেহ! কফিনবন্দি স্বপনকে নিয়েই ফিরল পরিবারমৃতের পরিবার
আলিপুরদুয়ার: লাশকাটা ঘরে মৃতদেহের ঠাসাঠাসি ভিড়। কোনটা কে, চিনতেই পারছেন না অনেকে। অভিশপ্ত ট্রেনে থাকা আত্মীয়, প্রিয়জন আদৌ বেঁচে আছে কি না, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ কেউ। বুকে পাথর চেপেই ছবি দেখে, ট্যাগ নম্বর দিয়ে দেহের ভিড়ে খুঁজতে হচ্ছে আত্মীয়কে। কিন্তু হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও শূন্য হাতে ফিরতে হল আলিপুরদুয়ারের দীপকের পরিবারকে। দীপকের কাকা স্বপন বিশ্বাসের নিথর দেহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে গ্রামে। শোকের ছায়া আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের পুকুরিয়া গ্রামে। কিন্তু দীপক কোথায়? সে প্রশ্নের উত্তর পেতে এখনও ওড়িশা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পরিবার।
গত শুক্রবার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৮৮ জনের। দুর্ঘটনার চার দিন পর ওড়িশায় গিয়ে স্বপনের দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন। স্বপন আর দীপক কেউই বেঁচে নেই, ধরে নিয়েই ওড়িশা গিয়েছিলেন তাঁরা। স্বপনের দেহ মিললেও দীপকের খোঁজ পেতে সব হাসপাতালের মর্গে যান আত্মীয়রা।
জানা গিয়েছে, ট্যাগ নম্বর দেখে তাঁরা শনাক্ত করেছিলেন দীপকের দেহ। কিন্তু মর্গে গিয়ে জানতে পারেন, সেই ট্যাগ লাগানো দেহ মর্গে নেই। অন্য কেউ তাদের পরিজনের দেহ ভেবে নিয়ে গিয়েছে, এমনটাই অনুমান পরিবারের। এই নিয়ে পরিবারের লোকজন ওড়িশার একাধিক সরকারি আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছেন। আধিকারিকরা মনে করছেন, মর্গে অনেক দেহ পড়ে রয়েছে, তার মধ্যেই থাকতে পারে দীপকের দেহ। দেহের খোঁজ পেতে পরিবারের লোকজন ডিএনএ-র নমুনা জমা দিয়ে এসেছেন। বিশ্বাস পরিবার জানাচ্ছে, দুর্ঘটনার দিন ট্রেনের একই কামরায় বসে যাচ্ছিলেন স্বপন ও দীপক, তাই দীপকের বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন তাঁরা।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা, আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস সহ অনেকেই এদিন নিহত স্বপনের বাড়িতে যান শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে অনুপ দাস বলেন, “এটা মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা তাঁর পরিবারের পাশে আছি। আমরা ওই পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করব।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours