প্রাথমিকে যে ৩৬ হাজার শিক্ষককের চাকরি গিয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুঃস্থ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান অনির্বাণ রায়। প্যারাটিচার হয়ে যে দশ হাজার মিলবে তাতে পরিবার কীভাবে চলবে,মা-বাবার চিকিৎসাই বা কীভাবে হবে তার কূল-কিনারা কিছুই মিলছে না।

Primary Recruitment Case: বাবা শয্যাশায়ী, মায়ের দু’বার স্ট্রোক, অস্ত্রোপচার হয়েছে মাথায়, চাকরিহারা ছেলে বললেন, ‘আয়াই নেন ১০ হাজার’মা-বাবার সঙ্গে অনির্বাণ (নিজস্ব চিত্র)
শিলিগুড়ি: মায়ের দু’বার স্ট্রোক হয়েছে। সঙ্গে আবার ব্রেন সার্জারি। এখন বিছানাতেই দিন কাটছে। হাঁটা-চলা কার্যত বন্ধ। ওই যেটুকু না করলেই নয়। অন্যদিকে বাবা দীর্ঘদিন শয্যায়। উঠতে পারেন না। বিছানাতেই লাগানো ক্যাথিটার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলের টাকাতেই চলে সংসার। দু’জনের চিকিৎসা। সঙ্গে তো রয়েইছে ওষুধের খরচ। এই অবস্থায় রীতিমতো আকাশ ভেঙে পড়েছে ওই পরিবারে। কারণ প্রাথমিকে যে ৩৬ হাজার শিক্ষককের চাকরি গিয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুঃস্থ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান অনির্বাণ রায়। প্যারাটিচার হয়ে যে দশ হাজার মিলবে তাতে পরিবার কীভাবে চলবে,মা-বাবার চিকিৎসাই বা কীভাবে হবে তার কূল-কিনারা কিছুই মিলছে না।


শিলিগুড়ির সুভাষপল্লীতে বাড়ি অনির্বাণের। এক ডাক্তারের অধীনে আটেনড্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন বাবা। অভাবের সংসার। পড়াশুনায় বরাবরই ভাল ছিল অনির্বাণ। মাধ্যমিকে পেয়েছিলেন স্টার। উচ্চ মাধ্যমিকে বাণিজ্য বিভাগে স্কুলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলেন। ২০১০-এ প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক পাশ করেন তিনি। ২০১৪ টেটে চাকরি মেলে। কিছুটা হাল ফেরে সংসারে। জীর্ন বাড়িতে সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এভাবেই চলছিল। তবে শুক্রবার আচমকাই যেন আকাশ ভেঙে পড়ল মাথায়। এখন সব অন্ধকার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours