মোদী পদবী নিয়ে মন্তব্যের জেরে ফৌজদারী মানহানির মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এর আগে এই মামলায় তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল গুজরাটের এক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। সেই রায় বহাল রেখেছিল সুরাট জেলা ও দায়রা আদালত।

Rahul Gandhi: কারাদণ্ড এড়াতে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল গান্ধী, চ্যালেঞ্জ দায়রা আদালতের রায়কেগুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী
আহমেদাবাদ: মোদী পদবী নিয়ে মন্তব্যের জেরে ফৌজদারী মানহানির মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালের এপ্রিলে কর্নাটকের কোলারে এক নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে তিনি মন্তব্য করেছিলেন “কেন মোদী পদবীধারীদের নামই চোরদের তালিকায় থাকে?” এই মন্তব্যের জেরেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল সুরাটের এক ম্য়াজিস্ট্রে কোর্ট। সেই রায়ের উরর স্থগিতাদেশ চেয়ে প্রথমে সুরাট জেলা ও দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন রাহুল। ২০ এপ্রিল তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সুরাট জেলা ও দায়রা আদালত। দায়রা আদালতের সেই আদেশকেই এদিন গুজরাট হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন রাহুল। যথাসময়ে একক বিচারপতির বেঞ্চে তাঁর আবেদন শোনা হবে।


এর আগে ২৩ মার্চ সুরাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। যার জেরে তাঁকে লোকসভার সাংসদ হিসাবে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তাঁর সাজা সেই সময় স্থগিত রেখেছিল এবং ৩০ দিনের মধ্যে তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ দিতে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর, ৩ এপ্রিল সুরাট দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। দায়রা আদালত সেই স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করলেও, রাহুল গান্ধীকে তাঁর মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছিল আদালত। আদালত পর্যবেক্ষণ করেছিল, একজন সাংসদ এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সভাপতি (মন্তব্যের সময়) হিসেবে তাঁর বক্তব্যের প্রতি আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল রাহুল গান্ধীর। কারণ, তাঁর কথা সাধারণ মানুষের মনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।


একই মন্তব্যের জেরে পটনার এক নিম্ন আদালতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আরও একটি ফৌজদারি মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। সুরা আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার সাত দিনের মধ্যে পটনার নিম্ন আদালত থেকে রাহুল গান্ধীকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হয়েছিল। ১২ এপ্রিল তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হলেও, রাহুল ওই দিন আদালতে যাননি। বদলে তাঁর আইনজীবী আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেন। আদালত এরপর তাঁকে ২৫ এপ্রিল হাজিরা দিতে বলেছিল। তার আগেই গত শনিবার (২২ এপ্রিল), নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুল আবেদন করেছিলেন উচ্চ আদালতে। সেই আবেদনে রাহুল গান্ধী যুক্তি দিয়েছিলেন, এই মামলার ফলে এক আইনি জটিলতা তৈরি হবে। যাকে আইনি ভাষায় বলে ‘ডাবল জিওপার্ডি’ বা ‘দ্বৈত সংকট’। সোমবার, পটনা হাইকোর্ট, ১৫ মে পর্যন্ত নিম্ন আদালতের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours