একদিকে যেমন পরিপুষ্ট ফসল জমিতেই নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে নতুন ফসল রোপন করাও যাচ্ছে না।

Bhangar: গরমে তেতে উঠছে চাষের ক্ষেত, মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ফলন, সবজির দাম লাগামছাড়া হওয়ার আশঙ্কাতেতে উঠছে চাষের ক্ষেত
ভাঙড়: চাঁদিফাটা রোদ্দুর। ৪০ ডিগ্রির উপর দিয়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহ চলছে। আর এই গ্রীষ্মের দাবদাহের মধ্যে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা। বৃষ্টির অভাবে খাঁ খাঁ করছে চাষের ক্ষেত। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। অত্যাধিক গরমের কারণে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে শসা, উচ্ছে, চিচিঙ্গা, লঙ্কা সহ একাধিক ফসল। নতুন করে ফসল রোপনও করতে পারছেন না কৃষকরা। এমন পরিস্থিত চলতে থাকলে সবজির দাম (Vegetables Price) আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কৃষকরা। ভাঙড়ের (Bhangar) সাতুলিয়া, পিঠাপুকুর গুচুরিয়া, লাঙলবেঁকি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল। এই এলাকার কৃষকরা একটি জমিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একাধিক ফসল চাষ করেন গোটা বছরে। কিন্তু এ বছরে প্রচন্ড গরমের কারণে ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না। আর এতেই সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। একদিকে যেমন পরিপুষ্ট ফসল জমিতেই নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে নতুন ফসল রোপন করাও যাচ্ছে না।


আর এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে আগামী দিনে কৃষিজ ফসলের দাম আরও অনেকটা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। প্রসঙ্গত, ভাঙড়কে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সবজি ভান্ডার বলা হয়। ফি বছর ভাঙড় থেকে উৎপাদিত সবজি কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলায় পাঠানো হয়। এমনকী পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে যায় কিছু অংশে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, ভাঙড়ের এই ফসলের উপর অনেকটা নির্ভর করে কলকাতার বাজারের সবজির দাম। কিন্তু এই প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যদি সবজির ফলন কমে যায়, তাহলে গৃহস্থের হেঁশেলেও তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।


কৃষকরা বলছেন, ৪০-৪২ ডিগ্রির এই কড়া রোদ্দুর গাছ সহ্য করতে পারে না। সেক্ষেত্রে বৃষ্টি না হলে গাছ এমনিই মরে যাবে রোদে। জল দেওয়া হলেও গরমে শিকড় নষ্ট হয়ে পচে যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, ‘স্যালোর জল দিয়ে কতটা আর পোষানো যাবে? তার উপর সারেরও এত দাম। একটু বৃষ্টি হলে সুরাহা হয়।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours