২০১৪ সালে গ্লাসগো সিডব্লিউজিতে সোনা জিতেছিলেন সঞ্জিতা। ৪৮ কেজি বিভাগে তাঁর কাছে হেরে গিয়েছিলেন টোকিও অলিম্পিকে রুপো পাওয়া ওয়েটলিফ্টার মীরাবাঈ চানু।

Sanjita Chanu: ডোপিং! মীরাবাঈ চানুর মণিপুরই কলঙ্কিত করল ভারতীয় ক্রীড়ামহলকে
Image Credit Source: Twitter
নয়াদিল্লি: আবার ডোপিংয়ের কালোছায়া ভারতীয় খেলায়। বিশ্ব খেলায় মুখে পুড়ল দেশের। কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) দু’বারের সোনাজয়ী ভারতীয় ভারোত্তোলককে (Weightlifting) ঘিরে প্রশ্ন ছিলই। ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েছিলেন নিষিদ্ধ ওষুধ নেওয়ার দায়ে। তাঁকে এ বার ৪ বছরের জন্য নির্বাসিত করল জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা নাডা (NADA)। অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ড্রস্টানোলন নিয়েছিলেন ২৯ বছরের ভারতীয় অ্যাথলিট। গত বছর সেপ্টেম্বরে গুজরাটে জাতীয় গেমসের সময় তাঁর নমুনা নেওয়া হয়েছিল। তাতেই মিলেছে নিষিদ্ধ ওষুধের নমুনা। কে এই অ্যাথলিট? তিনি সঞ্জিতা চানু (Sanjita Chanu)। আন্তর্জাতিক মিট থেকে সোনার পদক এনে দেশকে গর্বিত করেছেন এর আগে। সেই তিনিই কলঙ্কিত হলেন। বিস্তারিত TV9 Bangla-য়।


২০১৪ সালে গ্লাসগো সিডব্লিউজিতে সোনা জিতেছিলেন সঞ্জিতা। ৪৮ কেজি বিভাগে তাঁর কাছে হেরে গিয়েছিলেন টোকিও অলিম্পিকে রুপো পাওয়া ওয়েটলিফ্টার মীরাবাঈ চানু। ২০১৮ সালে গোল্ড কোয়েস্ট কমনওয়েলথ গেমসে আবার সোনা জিতেছিলেন সঞ্জিতা। এ বার ৫৩ কেজি বিভাগে পেয়েছিলেন সাফল্য। মীরাবাঈয়ের মণিপুরী প্রতিবেশি যে লজ্জায় ফেলে দেবেন, তা অবশ্য কেউই ভাবেননি। অবশ্য নাডার তিন সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে সঞ্জিতা নিষিদ্ধ কোনও ওষুধ নিয়েছিলেন, তা অস্বীকার করেন। উল্টে বলেছিলেন, তিনি নিয়ম মেনেই যাবতীয় ওষুধ নিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য শোনার পরই এই চার বছরের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নাডা। তিন কমিটির সদস্য স্বীকার করে নিয়েছে, সঞ্জিতা সিস্টেমেটিক ডোপিং করেছেন। অর্থাৎ, নিয়মিত সাফল্যবর্ধক ওষুধ নিয়ে গিয়েছেন। বিদেশে এ ভাবে ডোপিং করে অনেকেই ধরা পড়েছেন অতীতে, পড়ছেনও। এই সিস্টেমেটিক ডোপিং যে ভারতে ঢুকে পড়েছে, তা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রশ্ন হল, এই সিস্টেম রোখার জন্য কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে?


নাডার তিন সদস্যের কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২১ দিনের মধ্যে পাল্টা আবেদন করতে পারবেন সঞ্জিতা। তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নাডার প্যানেলের সদস্যরা বলেছেন, ‘সঞ্জিতা কেন ওই নিষিদ্ধ ওষুধ নিতেন, তার কোনও ডাক্তারি নথি নেই। অর্থাৎ, খাবার, সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধের মধ্যে দিয়ে তিনি এই নিষিদ্ধ ওষুধ সেবন করেছেন।’ সাফল্যবর্ধক ওষুধ আন্তর্জাতিক শিবিরের সময় নিতেন কিনা সঞ্জিতা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours