২০১০ সালে কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নন্দীগ্রামে নতুন রেলপথ তৈরির কাজের উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। কিছুটা কাজও এগিয়ে গিয়েছিল।

Rail line in Nandigram: নন্দীগ্রামে এবার চলবে ট্রেন! 'স্বপ্নপূরণ' করলেন কে? ভোটের আগে শুরু দড়ি টানাটানিকৃতিত্ব কার?
কলকাতা : গত এক দশকের বেশি সময় ধরে রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও শুভেন্দুর অধিকারীর টক্কর নজর কেড়েছিল। সেই নন্দীগ্রামেই এবার সম্পূর্ণ হওয়ার পথে রেললাইনের কাজ। কিন্তু রেলপথের কৃতিত্ব কার? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তা নিয়েই শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। ২০১০ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উদ্বোধন হয় রেলপথের কাজ। পরে সেই কাজ আটকে যায়। এবার ১৩ বছর পর সেই রেলপথের কাজ ফের শুরু করতে চায় রেল মন্ত্রক। স্টেশন, প্লাটফর্ম তৈরি হলেও, ট্রেন চালু হয়নি। এই রেলপথ নিয়ে অনেক আশা ছিল নন্দীগ্রামবাসীর।


২০১১ সালের সরকার পরিবর্তনের আঁতুরঘর হিসেবেই চিহ্নিত হয় নন্দীগ্রাম। তারপর অনেক জল গড়িয়েছে। সহযোদ্ধা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনিই বর্তমানে নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কিন্তু রেলপথ নির্মাণের ক্রেডিট কার ঝুলিতে? বারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে তদারকি করেছিলেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ২০২১ সালে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে হারানোর পর, নন্দীগ্রামবাসীর দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাতে একাধিকবার রেল মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি ২০১০ সাল থেকে আটকে থাকা রেলপথ র্নিমাণ আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিফলন যার কৃতিত্ব একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।



PC Sorcar Jr: ‘ইচ্ছা করলেই ভ্যানিস করে দিতে পারি’, শাসক দলকে ‘একহাত’ জুনিয়র পি সি সরকারের
এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী জানান, নন্দীগ্রামে সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টি মাথায় রেখেই রেলপথ চালু করার ক্ষেত্রে একাধিকবার কেন্দ্রকে দরবার করেছেন তিনি।

২০১০ সালে কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নন্দীগ্রামে নতুন রেলপথ তৈরির কাজের উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। কিছুটা কাজও এগিয়ে গিয়েছিল। পরে আইনি জটিলতায় আটকে যায় রেলপথ তৈরির কাজ। দীর্ঘ কয়েক বছর কাজ শুরু না হওয়ায় নন্দীগ্রামের মানুষ ধরেই নিয়েছিলেন এই রেলপথের স্বপ্ন তাঁদের কাছে অধরা রয়ে যাবে।

সিপিএম নেতা পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন, ‘সেদিন যারা একসঙ্গে ছিল, আজ তারা আলাদা হয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তারাই কৃতিত্ব নিতে চাইছে। নন্দীগ্রামের মানুষ কোনও ভাঁওতায় বিশ্বাস করবে না।’ যতক্ষণ না রেল লাইন হচ্ছে, ততক্ষণ মানুষ নিশ্চিন্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours