অভিযোগ উঠছে, কখনও ইলামবাজারের বাড়ি থেকে, কখনও বাসাপাড়ার গোপন ডেরা, কখনও আবার দুর্গাপুরের ফরচুন হোটেল থেকে গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন আব্দুল।

Abdul Latif: লতিফ যেন 'ডুমুরের ফুল', ফোটেন কিন্তু দেখা যায় না, হাড়ে হাড়ে টের পান ইলামবাজারের বাসিন্দারাইলামবাজারে এখনও চলছে গরু পাচার
বীরভূম: সিবিআই-এর খাতায় তাঁর নাম গরু পাচারের কিংপিন এনামুল হকের পরেই। আবার শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনেও বারবার উঠে আসছে তাঁর নাম। কিন্তু তিনি ফেরার, বলছে সিবিআই হোক কিংবা পুলিশ। আব্দুল লতিফ ফেরার। কিন্তু তাঁর উপস্থিতি টের পাচ্ছেন বীরভূমের বাসিন্দারা। আবারও রমরমিয়ে চলছে গরু পাচার। বীরভূমের স্থানীয় বাসিন্দারাই বলছেন, ইডি-সিবিআই-এর ভয়ে এতদিন গরু পাচার সেভাবে চলছিল না। আর চললেও তা আড়ালে চুপিসারে। কিন্তু TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল, আবারও গরু পাচার হতে শুরু করেছে প্রকাশ্যেই। রাজু ঝা খুনে লতিফের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ উঠছে, কখনও ইলামবাজারের বাড়ি থেকে, কখনও বাসাপাড়ার গোপন ডেরা, কখনও আবার দুর্গাপুরের ফরচুন হোটেল থেকে গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন আব্দুল। এখনও আড়ালে থেকেই ইলামবাজার হয়ে চলেছে দেদার গরু পাচার। তবে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে লতিফকে নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা।


মঙ্গলবার সকালে ইলামবাজারের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল TV9 বাংলার গাড়ি। ঠিক তার আগেই যাচ্ছিল গরু বোঝাই একটা লরি। দেখা যায়, মাঝপথেই একটি পুলিশের গাড়ি গরু বোঝাই লরিটিকে দাঁড় করায়। কয়েকজন পুলিশ কর্মী কিছু কথা বলতে চান। কিন্তু TV9 বাংলার গাড়ি দেখেই দৃশ্যত দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যায় পুলিশের গাড়িটি।

গরু বোঝাই লরিটি ইলামবাজারের জঙ্গল থেকে বোলপুরগামী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই গাড়ি কিন্তু নির্দিষ্ট রুটেই চলতে থাকে। তবে পুলিশের গাড়িটিকে আরও অনুসরণ করা সম্ভব হয়নি। বীরভূমের ইলামবাজারের করিডর দিয়েই মুর্শিদাবাদ হয়ে গরু পাচার হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে সে তথ্য আগেই এসেছে। সেই পাচার যে এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, তার প্রমাণ মিলল এদিনও। ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে না চাইলেও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাতে এই ভাবে রাস্তা গরু বোঝাই গাড়ির সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।



Raju Jha Murder Case: রাজুর সঙ্গে লতিফের সম্পর্ক কী? মুখ খুললেন গুলিতে জখম অন্যতম সাক্ষী ব্রতীন
গরু বোঝাই গাড়ির চালক অবশ্য বলেন, তাঁরা বাঁকুড়া থেকে আসছেন। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসা করেছেন, কোথায় যাবেন। তবে পুলিশ চা খরচের জন্য ৫০ টাকা চেয়েছেন বলেও জানালেন তিনি।

আব্দুল লতিফ আড়ালে। তারপরও এদিনের ঘটনা কি প্রমাণ করছে, আড়ালে থেকে গরু পাচারে সক্রিয় তিনি, প্রশ্ন থাকছেই।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours