তিনি চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। প্রবীর বক্তব্য, "আমাকে এসিবি ফাঁসিয়েছে। জোর করে মুখ থেকে বলিয়ে নিয়েছে।"

Prabir Koyal: 'তাপসবাবুকে ধরতে পারবে না, আমায় জোর করে বয়ান লেখাচ্ছে', দুর্নীতিদমন শাখার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরালেন প্রবীরপ্রবীর কয়াল (নিজস্ব চিত্র)
কলকাতা: প্রথম থেকেই তিনি বলে আসছেন, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” মঙ্গলবারও Tv9 বাংলার সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে একই কথা বললেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) প্রবীর কয়াল। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে। টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার তাপসের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাপসের পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে নাম রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারি (পিএ) প্রবীর কয়ালেরও।


বস্তুত, অতীতে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রবীর। সেই মামলায় এ দিন আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। কোর্টের বাইরে Tv9 বাংলার ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে রাজ্য দুর্নীতির দমন শাখার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। প্রবীর বলেন, “গতবছর অ্যান্টি কোরাপশান ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলাম। সেই কারণে আজ হাজিরা দিতে এসেছি।” এরপর তিনি দাবি করেন, তিনি চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। প্রবীর বক্তব্য, “আমাকে এসিবি ফাঁসিয়েছে। জোর করে মুখ থেকে বলিয়ে নিয়েছে। ওই দিন বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি থেকে হঠাৎ করে দুর্নীতি দমন শাখা আমায় গ্রেফতার করে। জোর করে ভয় দেখিয়ে বলেছিল যে নিজের দোষ নিজে নিতে হবে। তাপস সাহার নামে কিছু বলা যাবে না। ওনাকে আমরা ধরতে পারব না। সেই কারণেই আমার এই অবস্থা।” এর পাশাপাশি ২ কোটি টাকা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ওই টাকাটা নিয়োগ দুর্নীতির কোনও টাকাই নয়। ওটা ব্যবসাদারের টাকা। ওই ব্যবসায়ী আমায় পাঠাতেন। যেহেতু আমি কলকাতায় থাকি সেই কারণে টাকাটা শুধু এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে পাঠাতাম। ওইখানে ১ কোটি টাকা হবে। কিন্তু ট্রান্সফারের বিল দুর্নীতি দমন শাখা দেখাচ্ছে ২ কোটি ২ লক্ষ টাকা। আয়ো অনুপম দাস বারবার বলেছেন আমরা ওনাকে ধরতে পারব না। নয়ত বিপদ আছে।”

প্রসঙ্গত, রবিবার টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে তাপস সাহার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খোলেন প্রবীর কয়াল। তিনি বলেছেন, “আমি এক জন সাধারণ ব্যক্তি। এমএলএ হস্টেলের উল্টোদিকে একটি হোটেলে কাজ করতাম। সেখান থেকেই আমার সঙ্গে তাপস সাহার পরিচয়। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে আমি উনাকে চিনি। আমি উনার পিএ নই। আমি কোনও প্রভাবশালী বা বিভিন্ন দফতরে আমি কোনও দিন যায়নি।” সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআর-এ তাপস সাহার পরেই রয়েছে তাঁর নাম। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি এ বিষয়ে কোনওভাবেই যুক্ত নই। আমি রাজনৈতিক যড়যন্ত্রের শিকার। উনার সঙ্গে থেকে যে আমার এত ক্ষতি হবে ভাবিনি। আমি উনার পিএ নই। কেউ নই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours