তিনি বলেন, "আমি কিছু জানি না। এখানে কেউ আসে না। এখানে সবাই জানে ও ভাল মেয়ে। আমরা কোনওদিন কোনও খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত নই।"


মঙ্গলবার থেকে তিনিই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন। জানালার ওপর প্রান্ত থেকে বারবারই একটা কথা বলে আসছেন, ‘শ্বেতা নির্দোষ, ইনোসেন্ট।’ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের বান্ধবী হিসাবে নাম উঠে এসেছে শ্বেতার। নৈহাটির জেলাপাড়ার মেয়ে, সেখানেই বেড়ে ওঠা। এখনও জেলাপাড়ার বাড়িতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন শ্বেতা। মেয়ের নাম এভাবে জড়িয়ে যাওয়াতে দৃশ্যত বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী অরুণ চক্রবর্তী। মঙ্গলবারের পর বুধবারও শ্বেতার বাবা নিজের অবস্থানেই অনড়। এদিনও বলেন, ” অন্যায় করলে শাস্তি পাবে মেয়ে। প্রয়োজনে ইডিকে সহযোগিতাও করবে।” শ্বেতার সম্পত্তি, অয়নের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি খুব একটা বেশি উত্তর এড়িয়ে যাননি। আগেই জানিয়েছিলেন, অয়নের স্ত্রীর মারফতই শ্বেতার পরিচয় হয় অয়নের সঙ্গে। কিন্তু মেয়ে যে বেলঘরিয়াতে অয়নের সঙ্গে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেই ব্যাপারে কিছু জানেনই না তিনি। প্রশ্ন শুনে কিছুটা অবাকই হন। শ্বেতার বাবা অরুন চক্রবর্তী বলেন, “শ্বেতার হুগলির ফ্লাটের জন্য আমি টাকা দিয়েছি। কিন্তু বেলঘড়িয়ার ফ্লাটের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। মেয়ে বড়ো হয়েছে সব কিছু বলে না। তবে কোন অন্যায় করে থাকলে শাস্তি হবে।”


উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার ঠিক উল্টোদিকে জগন্নাথ নিকেতনে অয়ন শ্বেতার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই আবাসনে গিয়ে জানা যায়, মামা-ভাগ্নী সম্পর্কে সেখানে অয়নের সঙ্গে থাকতেন শ্বেতা। সেই প্রসঙ্গ শুনতেই শ্বেতার বাবা মাথা নীচু করে নেন। তিনি বলেন, “আমি কিছু জানি না। এখানে কেউ আসে না। এখানে সবাই জানে ও ভাল মেয়ে। আমরা কোনওদিন কোনও খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত নই।” তবে তিনি এও জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ। তদন্তের জন্য ইডি ডাকলে তাঁর মেয়ে যেতে রাজি। শ্বেতা বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন, তিনি তাঁর আইনজীবীর পরামর্শ নিচ্ছেন বলেও জানান।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours