বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্তরা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসছেন ভারতে। শুধু সংস্কৃতি সচেতনতাই নয়, দেশ জুড়ে সম্প্রীতি বা দাক্ষিণ্যের বার্তাও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।


 : রাম জন্মভূমিতে গড়ে উঠছে মন্দির। ২০২৪-এর ১৫ জানুয়ারির পর সেই মন্দির শুদ্ধিকরণের পরই অযোধ্যায় এক বড়সড় উৎসবের আয়োজন করা হবে। তার ঠিক ৩০০ দিন আগে থেকে শুরু হল এক বিশেষ উদ্যোগ। দেশ জুড়ে সংস্কৃতি সচেতনতা তৈরি করার জন্য ২১ মার্চ, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হল সেই উদ্যোগ। দিল্লির স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির থেকেই শুরু হল সেই কর্মসূচি।


এই বিশেষ উদ্যোগে সামিল হয়েছেন স্বামী রামদেব বাবা, স্বামী গোবিন্দদেব গিরি, স্বামী ভদ্রেশদাস। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্তরা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসছেন ভারতে। শুধু সংস্কৃতি সচেতনতাই নয়, দেশ জুড়ে সম্প্রীতি বা দাক্ষিণ্যের বার্তাও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। উপস্থিত থাকবেন, আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী আদেশানন্দ গিরি, আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী পূণ্যানন্দ গিরি, পূজ্য স্বামী পরমাত্মানন্দ স্বামী সরস্বতী মহারাজ, পূজ্য স্বামী জ্ঞানানন্দ মহারাজ, পূজ্য স্বামী বালকানন্দ গিরি মহারাজ, পূজ্য স্বামী প্রণবানন্দ সরস্বতী মহারাজ, মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশেষবরানন্দ গিরি মহারাজ, মহামণ্ডলেশ্বর জৈন আচার্য লোকেশ মুনি মহারাজ। এছাড়াও থাকবেন চম্পত রাই, নৃপেন্দ্র মিশ্র, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধি অলোক কুমার প্রমুখ।


হনুমানজীর আধ্যাত্মিকতা জাগ্রত করতে ভগবানের পায়ের কাছে এদিন পাঠ করা হয়েছে ‘ষাটকোটি হনুমান চালিশা’। সন্তরা মনে করছেন, এই উদ্যোগে সারা বিশ্বে ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে পড়বে, তৈরি হবে দেশাত্মবোধ। রাম মন্দির তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই হনুমান চালিশা পাঠ করার প্রথা চলতে থাকবে। পাঠ ছাড়াও প্রবন্ধ লিখন, আধ্যাত্মিক আলোচনা, সম্মেলনের আয়োজনও করা হয়েছে গোটা বছর জুড়ে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours