আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এর পাশাপাশি SEBI-কেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।


আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যু (Adani-Hindenburg Issue) খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। আদানি সম্পর্কিত হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে বিতর্ক পরীক্ষা করবে ওই কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এম সাপরে এই কমিটিকে নেতৃত্ব দেবে। এছাড়াও এই কমিটিতে থাকবেন এসবিআই-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওপি ভাট, বিচারপতি জেপি দেবদত্ত, কেভি কামাথ, ইনফোসিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি ও আইনজীবী সোমাশেখর সুন্দরেসান। তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি এ দিন শীর্ষ আদালত সেবিকে (Securities and Exchange Bureau of India) আদানির বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।




SEBI-র নিয়মের ১৯ নম্বর ধারার কোনওভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না এবং শেয়ারের দামে কোনওভাবে কারচুপি হয়েছে কি না, সেই সমস্ত বিষয় SEBI-কে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই তদন্তের অগ্রগতি সম্বন্ধে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক গঠিত কমিটিকে অবগত রাখতে হবে SEBI-কে। এই গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তরফে SEBI-কে দু’মাস সময় দেওয়া হয়েছে । দু’মাসের মধ্যে আদানির বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে SEBI-কে। আদালতের নির্দেশের পর SEBI জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে তদন্ত শুরু করেছে।

এ দিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “SEBI-কে ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে এবং একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে।” এদিকে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এই তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কমিটি গঠন SEBI-র স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না। প্রসঙ্গত, আদানি নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়েছিল। চারটি আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। সেই শুনানিতেই এই রায় শীর্ষ আদালতের।


সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটির দায়িত্ব:

সাম্প্রতিক অতীতে আদানি সম্পর্কিত হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর শেয়ার বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এর কারণগুলি খতিয়ে দেখা সহ পরিস্থিতির সামগ্রিক মূল্যায়ন করা;
 বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা জোরদার করার ব্যবস্থা;
আদানি গ্রুপ বা অন্যান্য সংস্থার ক্ষেত্রে শেয়ার বাজার সম্পর্কিত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রকদের কোনও ব্যর্থতা রয়েছে কি না তা তদন্ত করা;
বিধিবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা সম্পর্কিত বিদ্যমান কাঠামোয় বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া।
এএম সাপরের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিকেও দুই মাসের মধ্যে শীর্ষ আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours