পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে একসঙ্গে ১৪ জন বুথ সভাপতির ইস্তফা স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

TMC Clash: ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ, তৃণমূলের ১৪ জন যুব সভাপতির গণইস্তফাপ্রতীকি ছবি।
তুফানগঞ্জ: ফের ভাঙন শাসকদলে! এবার স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিলেন যুব তৃণমূলের ১৪ জন বুথ সভাপতি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জে। তুফানগঞ্জের (tufanganj) শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ১৪ জন যুব সভাপতি একসঙ্গে নাগুরহাটে তৃণমূল কার্যালয়ে একযোগে ইস্তফা দিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে এভাবে একসঙ্গে ১৪ জন বুথ সভাপতির ইস্তফা স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের (TMC) অস্বস্তি বাড়িয়েছে।


জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জের শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫টি বুথ কমিটি রয়েছে। তার মধ্যে ১৪টি কমিটির যুব সভাপতি গণইস্তফা গিয়েছেন। ব্লক সভাপতি মানিক বর্মনের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেই শনিবার রাতে গণইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানিক বর্মন।

সূত্রের খবর, তুফানগঞ্জের বক্সিরহাটে যুব তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল চলছিল। এবার শালবাড়ি-১ অঞ্চলের যুব তৃণমূলের নতুন কমিটি এবং নতুন বুথ যুব সভাপতি গঠন হতেই দলের অন্দরের কোন্দল প্রকট হয়ে ওঠে। দলের পুরোনো কর্মীদের বঞ্চিত করে ব্লক সভাপতি নিজের লোকেদের যুব কমিটিতে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ শালবাড়ি-১ যুব তৃণমূলের সভাপতি মিল্টন লায়েকের। তাঁর অভিযোগ, কোচবিহার জেলায় ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে যুব তৃণমূলের কমিটি ঘোষণা হলেও শুধুমাত্র শালবাড়ি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটি এতদিন ঘোষণা হয়নি। শনিবার হঠাৎ তাঁরা গ্রুপে দেখতে পান, তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি মানিক বর্মন, পুরনো কর্মীদের বঞ্চিত রেখে, দলবদলুদের শালবাড়ি-১ এর কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। একইভাবে শালবাড়ি-১ যুব তৃণমূলের সভাপতি দীপঙ্কর লায়েক বলেন, “সব জায়গায় জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতি যৌথভাবে কমিটি ঘোষণা করেন। কিন্তু, এখানে জেলা যুব সভাপতির কোনও শিলমোহর নেই। ফলে এই কমিটি অবৈধ কিনা তা বুঝতে পারছি না। তাঁর দাবি, ব্লক সভাপতি নিজের লোকেদের পদে বহাল করেছেন।” এছাড়াও কোনও মিটিং-মিছিলে যুবদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ যুব সভাপতিদের। এই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এদিন একযোগে ১৪ জন বুথ সভাপতি ইস্তফা দেন।



Pathan Movie: ‘শাহরুখ খানকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারব’, হুঁশিয়ারি মোহন্ত পরমহংসের
যদিও স্বজনপোষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি মানিক বর্মন। তিনি বলেন, “যাঁকে যুব সভাপতি করা হয়েছে তিনি দীর্ঘদিন দলের কর্মী এবং জেলা সভাপতির মতামত নিয়েই করা হয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, “যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের আমি চিনি না। এঁদের হয়ত একসময়ে বুথ সভাপতি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কোচবিহার জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি বদল হয়েছিল। তখন আর কোন কমিটির বৈধতা ছিল না।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours