কোনও আসন জয়লাভ করতে পারেনি বিজেপি। এর আগে তাহেরপুর পুরসভার উপনির্বাচন, পলাশিপাড়ার সমবায়ের পর তেহট্ট সমবায় নির্বাচনেও উড়ল লাল আবিরই।

তেহট্ট (Tehatta) কৃষি সমবায় নির্বাচনে ফের উড়ল লাল নিশান। বিপুল জয় সিপিআইএমের (CPIM)। মোট ৭২টি আসনের মধ্যে ৬৬-তে জয়লাভ করল সিপিআইএম। বাকি ৬টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। তেহট্ট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তেহট্ট সমবায় কৃষি উন্নয়ন লিমিটেডের প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল। সেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৭৯৯ জন। সেখানেই ৬৬ আসনে জয়লাভ করেছে সিপিআইএম। ৬টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল। কোনও আসন জয়লাভ করতে পারেনি বিজেপি। এর আগে তাহেরপুর পুরসভার উপনির্বাচন, পলাশিপাড়ার সমবায়ের পর তেহট্ট সমবায় নির্বাচনেও উড়ল লাল আবিরই।

রবিবার তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রের তেহট্ট কৃষি উন্নয়ন সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ফলাফল ঘোষণা হয়। ভোটার সংখ্যা ছিল ১৭৯৯ জন। বিগত নির্বাচনে সিপিআইএম সমর্থিত প্রার্থীরাই এই সমবায়ের দখল করে। এবার তার ব্যতিক্রম হল না।

সারা বাংলায় লাল শিবিরের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শাসক দল এবং বিরোধী বিজেপি। সেখানে দাঁড়িয়ে তেহট্টের এই ফলাফল রাজনৈতিক দিক থেকেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই ফল দলীয় কর্মীদের মনোবলকে আরও মজবুত করবে বলে মনে করছে নেতৃত্বও।


প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালের পর থেকেই সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটিতে ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা। ১৪ জানুয়ারি তেহট্টের সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল। ৪৯ আসন বিশিষ্ট এই সমবায় সমিতির সব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল কিংবা বিরোধীরা।

নদিয়ার পুরভোটে উড়েছিল সবুজ ঝড়। বিজেপি সেখানে একটিও পুরসভা জয় করতে পারেনি। কিন্তু তার মধ্যেই চমকে দিয়ে তাহেরপুর পুরসভা দখলে নিয়েছিল বামেরা। তাহেরপুর পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডে জয়ী হয় বামেরা। নদিয়ার এই জোনে বরাবরই বামেরা শক্তিশালী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগের বামেদের এই জয় সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সিপিএমের দক্ষিণ অঞ্চল কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, ‘‘অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা তেহট্টের ভোটাররা দেখিয়ে দিলেন।’’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours