শনিবার শাহিদকে আলিপুর সিজেএম আদালতে পেশ করে সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করে দেয় আলিপুর আদালত।


 শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে শুক্রবারই শেখ শাহিদ ইমাম সহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। সেই ঘটনার পর শেখ শাহিদ ইমামকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সিবিআই হেফাজতের সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই শনিবার ফের আদালতে পেশ করা হয় শাহিদ ইমামকে। হেফাজতে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের পেশ করা হল তাঁকে। শনিবার শাহিদকে আলিপুর সিজেএম আদালতে (Alipore Court) পেশ করে সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করে দেয় আলিপুর আদালত।



গতকালই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের শাহিদকে আদালতে পেশ করায় বিচারক প্রশ্ন করেন, একদিনের হেফাজতে হয়ে গেল? বিচারকের প্রশ্ন শুনে সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিক জানান, আপাতত জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে সিবিআই সূত্র মারফত খবর, জেরার মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন শেখ শাহিদ ইমাম। এদিন আলিপুর আদালত শেখ শাহিদ ইমামকে বাকি দুই দিনের অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিন আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে পুলিশের ভ্যানে ওঠার সময় শাহিদ বলেন, ‘আমি আইনের সঙ্গেই আছি।’ সিবিআইকে সব সত্যি কথা বলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।


সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, শাহিদ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে জেরায়। আদালত থেকে বেরিয়ে পুলিশের ভ্যান বসেও শাহিদ দাবি করেছে সিবিআইকে সব সত্যি জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার এক ব্যক্তির তিনদিনের সিবিআই হেফাজত পাওয়ার পরেও একদিনের মধ্যেই জেরা প্রক্রিয়া আপাতত শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। প্রসঙ্গত, বাগদার চন্দন মণ্ডল সহ, সুব্রত সামন্ত রায়, কৌশিক ঘোষ, শাহিদ ইমাম, শেখ আলি ইমাম, আব্দুল খালেককে শুক্রবার গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours