শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, অতীতে অনেক রাজ্যপালই খসড়া ভাষণের বেশ কিছু লাইন রাজ্য সরকারকে পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছেন। সেই প্রসঙ্গে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, কেশরীনাথ ত্রিপাঠি, জগদীপ ধনখড়ের তুলনাও টানেন শুভেন্দু।

রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের (West Bengal Assembly Budget Session) প্রথম দিনেই উত্তাল পরিস্থিতি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) ভাষণে বেজায় অসন্তুষ্ট বিজেপি পরিষদীয় দল। বিধানসভার অন্দরে রাজ্যপালকে থামানোর চেষ্টা চলে বিজেপির পক্ষ থেকে। শুরু হয় হই-হট্টগোল। তাতেও কাজ না হওয়ায় ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে বেরিয়েও প্রতিবাদ চলে। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অসন্তোষের কারণ ব্যাখ্যা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শাসক দল রাজ্যপালকে দিয়ে অসত্য ভাষণ পাঠ করিয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুদের।

সাধারণ যে কোনও রাজ্যেই বিধানসভার অধিবেশনের জন্য রাজ্যপালের বক্তৃতার খসড়া রাজ্যের থেকেই লিখে পাঠানো হয়। তবে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, অতীতে অনেক রাজ্যপালই খসড়া ভাষণের বেশ কিছু লাইন রাজ্য সরকারকে পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছেন। সেই প্রসঙ্গে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, কেশরীনাথ ত্রিপাঠি, জগদীপ ধনখড়ের তুলনাও টানেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা জানান,তামিলনাড়ুর বর্তমান রাজ্যপালও সম্প্রতি সে রাজ্যের বিধানসভায় বেশ কিছু বিষয় পড়তে অস্বীকার করেছেন। শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘বাংলার রাজ্যপাল তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের দেখানো পথে না হেঁটে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দেখানো পথে হেঁটেছেন। যেভাবে রাজ্যের প্রকৃত অবস্থার উল্লেখ না করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখে দেওয়া বক্তৃতা রাজ্যপাল পড়েছেন, তাতে রাজ্যের জনগণ ও বিরোধীরা হতাশ।’

শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার ভয়ঙ্কর অবনতি হয়েছে এই রাজ্যে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বোমা পাওয়া যাচ্ছে, চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান করছেন, ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীরা সরব হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে যখন প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটছে, তখন রাজ্যপালকে দিয়ে বলানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সোনায় বাংলায় বসবাস করছি।’ রাজ্যপালকে দিয়ে যে কথা বলানো হচ্ছে, তার বিপরীতে হেঁটে শুভেন্দুর দাবি, ‘এখানে শ্মশানের শান্তি বিরাজ করছে।’ পাশাপাশি একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার বাড়ি, গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজ নিয়েও বিধানসভার রাজ্যপালকে দিয়ে ‘মিথ্যাচার করানো হয়েছে’ বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তাঁর প্রশ্ন, ‘সাংবিধানিক প্রধানের মুখ দিয়ে এত বড় অসত্য বিবৃতি কী করে দেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে? এতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত ও লজ্জিত।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours