প্রধানের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও জোর তরজা। বিজেপির টিকিটে জিতলেও দলের দাবি পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও তা মানতে চাননি প্রধান।


প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর। শুক্রবার প্রধানের পদে তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত দায়িত্ব বিজেপির উপপ্রধানের হাতে তুলে দেন তিনি। বিজেপি ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতে ২০টি আসনের বিজেপি ১১ টিতে জয়ী হয়। তৃণমূল পায় ৬টি, বাকি ৩টি বামেদের দখলে ছিল। বিজেপির অভিযোগ, এরপরেই বিজেপির প্রধান মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর তৃণমূলে চলে যান। কিছুদিন আগে তৃণমূলের এক সদস্যর মৃত্যুর পর বিজেপি অনাস্থা আনে। বিজেপির অভিযোগ, বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে সেই অনাস্থার সভা ভেস্তে দেন। যা নিয়ে তুলকালাম হয়। বালুরঘাট বিডিও অফিসে ঢুকে বিডিওকে চেয়ার ছুঁড়ে মারার অভিযোগ ওঠে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা জেল হেফাজতে থাকলেও সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান। এরইমধ্যে ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের অনাস্থা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।


হাইকোর্ট অনাস্থা সভার জন্য সময়ও বেধে দেয়। এদিকে এরপরই প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ান মল্লিকা। বিজেপির দাবি, হেরে যাবেন জেনেই ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও মল্লিকা কর্মকার সূত্রধরের দাবি, বিজেপির বাকি পঞ্চায়েত সদস্যরা তাঁকে হেনস্থা করেন। কাজও করতে দেন না। তাই তিনি সরে দাঁড়ান। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির পাল্টা দাবি, প্রধান তৃণমূলে যোগ দেন। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরই ইস্তফাও দিয়ে দেন।

মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর বলেন, “আমি বিজেপির প্রধান ছিলাম। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরা আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করেছেন। কাজ করতে দেওয়া হয়নি। তাই আজকে প্রধানের পদ থেকে ইস্তাফা দিলাম। এছাড়াও বিজেপি ছাড়ার জন্য বিজেপি জেলা সভাপতির কাছে চিঠি দিয়েছি।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours