ইয়েতি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৬৯১ বিমানটির নামার কথা ছিল পোখরা বিমানবন্দরে। তার আগে যখন সেতি নদীর খাদ পেরোচ্ছিল তখন পাইলটের ভুলেই তা ভেঙে পড়ে।


নেপালে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান গত মাসে ভেঙে পড়ে। সেই ঘটনায় ৭১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যে ছিলেন পাঁচ ভারতীয়ও। ১৫ জানুয়ারি সকালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি। পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল সেই বিমানের। পোখরা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর আগেই সেতি নদীর খাদে ভেঙে পড়ে ওই বিমান। কেন বিমানটি ভেঙে পড়ল তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। খারাপ আবহাওয়াকেও দায়ী হয় প্রাথমিকভাবে। এর পর বিমান ভেঙে পড়ার তদন্ত শুরু হয়। বিস্তারিত তদন্তের পর জানা গেল পাইলট অর্থাৎ বিমানচালকদের ভুলেই গত মাসে নেপালে ঘটেছিল বিমান দুর্ঘটনা। বিমানটিকে অবতরণের জন্য যখন পাইলটরা প্রস্তুত হচ্ছিলেন তখন ককপিটে ফ্লাপ লিভার ব্যবহারের বদলে এক জন পাইলট এমন লিভার ব্যবহার করেন যাতে ইঞ্জিনের পাওয়ার শূন্য হয়ে যায়। এর জেরেই ভেঙে পড়ে বিমানটি।



ইয়েতি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৬৯১ বিমানটির নামার কথা ছিল পোখরা বিমানবন্দরে। তার আগে যখন সেতি নদীর খাদ পেরোচ্ছিল তখন পাইলটের ভুলেই তা ভেঙে পড়ে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্লাপস লিভার ব্যবহার করা হয়নি বলে উঠে এসেছে তদন্তে। তার বদলে যে লিভার ব্যবহার করা হয়েছিল তার জেরে ইঞ্জিন ‘ফেদার্ড’ হয়ে যায়। এর জেরে ইঞ্জিন থেকে পাওয়ার চলে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ভুলেই বিমানের অভ্যন্তরে ধাক্কার সৃষ্টি হয়। এবং তখন বিমানের দুটি ইঞ্জিন ফেদার্ড অবস্থায় গিয়েছিল। এই ঘটনা সচরাচর ঘটে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours