বিচারপতির দাবি, এভাবে আসলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকে ব্যহত করার চেষ্টা চলছে।

নবম-দশমের ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় মামলায় নয়া মোড়। আদালতের নির্দেশে ওএমআর শিট (OMR Sheet) বা উত্তরপত্র প্রকাশ করায় সামাজিক সম্মানহানি হয়ে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন ১২ জন শিক্ষক। বুধবার মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ১২ শিক্ষক। তাঁদের আবেদন খারিজ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করলেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোলমাল পাকাতেই এই ধরনের আবেদন করা হয়েছিল। ওই মামলাকারীদের ১ টাকা প্রতীকী জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই উত্তরপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ওএমআর শিটের নম্বর বদলে গিয়েছিল বলে অভিযোগ সামনে আসে। যাঁদের ওএমআর শিটে জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল আদালতের নির্দেশে।



এদিন বিচারপতি বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোলমাল পাকাতেই এই ধরনের আবেদন করা হয়েছে।’ এসএসসি-ও ওএমআর শিট প্রকাশের কারণ জানে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এই মামলার সঙ্গে ব্যাপক হারে শিক্ষার নিয়োগ দুর্নীতি যুক্ত। এসএসসি সার্ভারের মেধাতালিকার সঙ্গে কোনও মিল নেই গাজিয়াবাদের মাদার সার্ভারের ওএমআর সংক্রান্ত তথ্যের। ০ বা ১০ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কীভাবে ৪২ বা ৪৩ নম্বর মিলল? এদিন সেই প্রশ্ন আরও একবার তুলেছেন বিচারপতি।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এসএসসি ওয়েবসাইটে বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হননি। এমন মামলার জন্য ও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিশৃঙ্খলা তৈরির করার চেষ্টার কারণে ১ টাকা করে জরিমানা ধার্য করা হচ্ছে।

যাঁরা প্রকৃতপক্ষে শূন্য বা ১, ২ পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকের নম্বর বদলে ৫২ বা ৫৩ হয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। উত্তরপত্র প্রকাশের পর দেখা যায়, এমন অনেক শিট আছে, যাতে কার্যত নাম, রোল নম্বর ছাড়া একটা আঁচড়ও কাটা হয়নি। তারপরও কোন যাদুবলে চাকরি মিলল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours