সূত্রের খবর, গত প্রায় ১৮ বছর আগে হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনীর চকদাপট এলাকার চম্পা মহন্তের সঙ্গে সজল দাসের বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়েও রয়েছে।

পিকনিক করে দেরি করে বাড়ি ফেরায় স্ত্রীর সঙ্গে বচসা স্বামীর। কেন পিকনিক থেকে আসতে দেরি হল স্ত্রীর! সূত্রের খবর, তা নিয়ে বচসা শুরু স্বামীর৷ সেই সময় স্ত্রীকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারধর করে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে৷ মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরমাইলে। মৃতার নাম চম্পা মহন্ত দাস (৩৪)। খুনের পর থেকেই পলাতক স্বামী সজল দাস। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ৷ তাঁরাই মৃতদেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বালুরঘাট থানায়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ।



এবিষয়ে মৃত গৃহবধূর ভাই দীপক মহন্ত বলেন, দিদি পিকনিক করতে গিয়েছিল কেন, “সেটা নিয়েই অশান্তি শুরু হয়। ফিরতে একটু দেরি হওয়ায় বাড়ি এসেই মারধর করে আমার জামাইবাবু। এরপর কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দিদি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে ভোরবেলা মারা গিয়েছে। আমরা পুলিশকে সবটা জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগ করব।” এ বিষয়ে অভিযুক্তের প্রতিবেশী মিলন মহন্ত বলেন, “এর আগেও নানা কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। কিন্তু এই রকম মারধর হয়নি। এ ঘটনা তো আমরা সবাই অবাক।” অন্যদিকে বালুরঘাটের ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ বলেন, “পিকনিক করতে যাওয়া নিয়ে স্বামীর স্ত্রীর অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তবে এব্যাপারে পরিবারের তরফে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবুও পুলিশের তরফে পুরো ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours