আবাস যোজনার কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় টিম।

আবাস-তদন্তে ফের ফলে গেল শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি। নন্দীগ্রাম দিবসে বিরোধী দলনেতার হুঙ্কারের ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় নবান্নে দিল্লির চিঠি। আবাস যোজনার কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় টিম। মোট দশটি জেলায় যাবেন তাঁরা। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কালিম্পং, দার্জিলিং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল। ইতিমধ্যেই চিঠি এসেছে রাজ্য সরকারের কাছে।



নবান্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে রাজ্যের তরফে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। গত সপ্তাহেই রাজ্যে আসেন ছয়জন কেন্দ্রীয় আধিকারিকের প্রতিনিধি দল। দুটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা দুটি পৃথক জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-র বাড়ির কাজ পরিদর্শন করেন। প্রতিটি দলে ছিলেন তিনজন করে আধিকারিক। যে দুটি জেলা কেন্দ্রীয় দল ঘুরে দেখতে, সেগুলি হল পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদা। কেন্দ্রের তরফে চিঠিতে কোন কোন আধিকারিক কোন জেলায় যাবেন, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় দল গত সপ্তাহেই রাজ্যের দু’টি জেলায় ঘুরে গিয়েছে। এবার বাংলার ১০টি জেলায় আবাস-পরিস্থিতি ঘুরে দেখার জন্য আবার পাঁচ-পাঁচটি অনুসন্ধানী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশাসনিক মহলে, অনুমোদন মিললেও বাড়ি তৈরির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দের বদলে আবারও নতুন দল আসছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির কাজ শুরুই করতে পারেনি রাজ্য সরকার। আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়ছেন। এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় নাম উঠছে শাসক-বিজেপির নামও। শহিদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী কিছুদিন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “পাকা বাড়ি বা ইন্দিরা আবাস বা গীতাঞ্জলী পাওয়া বাড়িতে যদি টাকা নিয়ে থাকেন টাকা ফেরত করাব। মালদহ, পূর্ব মেদিনীপুরে আমার অভিযোগেই টিম এসেছে। আগামী সপ্তাহে আরও ১৫ জেলায় টিম আসবে। অঞ্চল, গ্রাম ধরে ধরে চোরদের যদি চিহ্নিত করতে না পারি আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours