ববিতার চাকরি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এদিন হয়নি। ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

ববিতা সরকারের মামলার শুনানি আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মূলত একইসঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত ৬টি মামলার (চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এমন মামলা) শুনানি চলছিল এদিন। তা চলাকালীনই আরও একটি মামলা উঠে আসে সামনে। প্রিয়াঙ্কা সাউ নামে আরও এক শিক্ষিকা মামলা করে চাকরি পেয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপরই প্রিয়াঙ্কার প্রাপ্ত নম্বরকে চ্যালেঞ্জ করে প্রীতি নারজিনারি নামে আরেক প্রার্থী মামলা করেন। তাঁর দাবি, উত্তরবঙ্গের প্রীতি প্রিয়াঙ্কার থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন। যদিও প্রীতির দাবির সপক্ষে দাখিল করা তথ্যে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। শুক্রবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেন। ২১ দিনের মধ্যে সেই টাকা দিতে হবে।



প্রিয়াঙ্কার আইনজীবীর বক্তব্য, আদালতকে সবটাই তাঁরা জানিয়েছিলেন। এখন এই মামলার অর্থ কী? পাল্টা প্রীতির আইনজীবী দাবি করেন, তিনি কমিশনের ওয়েবসাইট দেখেননি। তাই নম্বরের ব্রেক আপ লিস্টও নজরে আসেনি। পরে পুজোর সময় সংবাদমাধ্যমে প্রিয়াঙ্কার ইন্টারভিউ দেখেন তিনি। সেখানে তাঁর নম্বরের ব্রেক আপ লিস্ট দেখেন। মামলাকারীর দাবি, এরপরই তিনি দেখেন, প্রিয়াঙ্কার থেকে তাঁর বেশি নম্বর রয়েছে। আদালতের বক্তব্য, কেন এতদিন তিনি মামলা করেননি। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আরও একটি বিষয় আদালতে উল্লেখ করেন, প্রীতি নবম দশমে চাকরি করছেন। সেক্ষেত্রে এসএসসি কাউকে যখন সুপারিশ দেয় তখন সেই ক্লাসেরই সুপারিশ নিতে পারেন। প্রীতি নবম-দশমের সুপারিশ গ্রহণ করেছিলেন। তাহলে প্রিয়াঙ্কার প্রাপ্ত একাদশ-দ্বাদশের সুপারিশ কীভাবে চ্য়ালেঞ্জ করছেন?


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours