পুলিশের অনুমান, ক্লোরোফর্ম স্প্রে করে বা মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে দেওয়ার ফলে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিন জন।


পৌষ সংক্রান্তির দিন শিক্ষিকার বাড়িতে এসেছিলেন দুই গুরু বোন। রাতে খাওয়াদাওয়ায় করেন একসঙ্গে। শিক্ষিকার বাবা যে ওই দুই মহিলার গুরু ভাই, তা জানতেন প্রতিবেশীরাও। ওই এলাকায় আরও একাধিক গুরু ভাই রয়েছে ওই দুই মহিলার। পৌষ পার্বণের দিন এসেছিলেন তাঁরা। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার সকালে বাকি গুরু ভাইদের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন সকাল হতেই, প্রতিবেশীরা দেখেন শিক্ষিকার বাড়ির দরজা হাট করে খোলা। সন্দেহ হওয়ায় ভিতরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ পড়শিদের! বাড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শিক্ষিকা, তাঁর মা-বাবা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুপ্তিপাড়া এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন গুপ্তিপাড়া ফাঁড়িতে। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করেন।





বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ার সুলতান পুর ভড়পাড়ার বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির জর্নাদন সরকার, তাঁর গীতা সরকার ও তাঁদের মেয়ে বছর তিরিশের প্রতিমা সরকার। প্রতিমা স্থানীয় মীরডাঙা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পৌষ সংক্রান্তির দিন জনার্দনের গুরু বোন এক মহিলাকে নিয়ে তাঁদের বাড়িতে আসেন। রাত্রিযাপন করেন গুরুভাইয়ের বাড়িতে। ওই এলাকায় আরও কয়েকজন গুরু ভাই রয়েছে ওই মহিলার। তাঁদের বাড়িতে গিয়েও দেখা করেন ওই দুই জন।

সোমবার সকাল থেকে তাঁদের আর পাত্তা পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা সকালে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান দরজা হাট করে খোলা। তিন জন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। স্থানীয় চিকিৎসককে ডেকে দেখানোর পর পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ গিয়ে তিন জনকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অচৈতন্য থাকায় পুলিশকে কিছু জানাতে পারেনি জনার্দন সরকারের পরিবার। বাড়ি থেকে কিছু লুঠ হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু এক্ষেত্রে শিক্ষিকা ও তাঁর বাবা-মায়ের জ্ঞান ফেরাটা খুব প্রয়োজনীয় বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours