যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে আরও আধুনিক করা হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরের এই স্মোকিং জ়োন

বিমানযাত্রায় ধূমপান নিষিদ্ধ। কিন্তু বিমানযাত্রীদের এয়ারপোর্টে চেকইন করার পরও অনেকটা সময় কাটাতে হয় টার্মিনালে। আর যাঁরা নিয়মিত ধূমপায়ী, তাঁদের জন্য বিমানবন্দরে বিশেষ স্মোকিং জ়োনের ব্যবস্থা রাখা হয়। কলকাতা বিমানবন্দরেও (Dumdum Airport) একটি স্মোকিং জ়োন (Smoking Zone) ছিল। কিন্তু সেটি ছিল আকারে আয়তনে অনেকটাই ছোট। একটি টেলিফোন বুথের মতো ছোট ছোট চেম্বার। দেওয়াল ও সিলিং দু’টিই অপ্রশস্ত ছিল। আর একজন ধূমপায়ী সেখান থেকে বেরোনোর পর অপর জন যখন ঢোকেন, তখন সেটি কার্যত গ্যাস চেম্বারের মতো মনে হয়। কিন্তু এবার সেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে আরও আধুনিক করা হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরের এই স্মোকিং জ়োন।


কেমন হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরের এই নতুন স্মোকিং জ়োন? বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষে জানাচ্ছে, এতদিন ধূমপানের জন্য ৬ ফুট উচ্চতার ছোট ছোট চেম্বার ছিল। এমন পাঁচটি চেম্বার ছিল। এখন সেই সিলিং-এর উচ্চতা বাড়িয়ে দশ ফুট করা হয়েছে। বেড়েছে চেম্বারের সংখ্যাও। আধুনিকীকরণের পর চেম্বার হচ্ছে ৩৬টি। শুধু তাই নয়, প্রতিটি চেম্বারে থাকছে একটি করে অ্যাশ ট্রে। থাকছে গ্যাস নিষ্কাষণের অত্যাধুনিক ব্যবস্থাও। স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে স্মোকিং জ়োনের আয়তনও। আগে যে স্মোকিং জোন ৬৫ বর্গফুটের ছিল, সেই জায়গাটি এখন আকারে আয়তনে বেড়ে হয়েছে ২৫৮ বর্গফুটের।

নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা এই স্মোকিং জ়োনটি তৈরি করা হয়েছে এরোব্রিজের ২৫ নম্বর গেটের কাছে। কলকাতা বিমানবন্দরের এই অত্যাধুনিক স্মোকিং জ়োনের বিষয়ে এক নিত্যযাত্রী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “নতুন ব্যবস্থার ফলে যারা ধূমপান করেন, তাঁদের যেমন উপকার হবে… তেমনই যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁরাও উপকৃত হবেন। আগের মত আর টার্মিনালে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়বে না।”

এই নতুন স্মোকিং জ়োনের পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দরে আগত অটিস্টিক বিমানযাত্রীদের জন্যও বিশেষ যত্নবান হওয়ার ক্ষেত্রে সিআইএসএফ জওয়ামদের বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৫০ জন সিআইএসএফ জওয়ানকে নিয়ে এই সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours