দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে যখন ফ্রান্সের (France Football Team) সমর্থকেরা স্বপ্ন দেখছেন, তখন নীরবে নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন। সেই অলিভিয়ের জিহু (Olivier Giroud) রবিবার বিশ্বকাপের (FIFA WC 2022) প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের হয়ে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোল করলেন। সেই সঙ্গে জাতীয় দলের জার্সিতে গড়লেন নতুন রেকর্ড। থিয়রি অঁরিকে পিছনে ফেলে ৫২ গোল করা জিহুই এখন দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাঁর বয়স ৩৬ পার করলেও, জিহু দেশের জার্সিতে এখনও আরও অনেক গোল করতে এবং খেলা চালিয়ে যেতে আগ্রহী।

কঠিনতম চ্যালেঞ্জ

ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার, ১১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামবে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। জিহু মনে করছেন এই ম্যাচই এখনও পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কঠিনতম পরীক্ষা হতে চলেছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফ্রান্স তারকা বলেন, 'বিশ্বকাপে এতদূর পর্যন্ত পৌঁছতে পারাটা দারুণ। কিন্তু এখানেই যাতে আমাদের সফর শেষ না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আ
নিজের রেকর্ড গোলসংখ্যা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে জিহু জানান, 'কিলিয়ান বক্সের মধ্যে আমার জন্য একটা দারুণ পাস বাড়িয়েছিল। আমি যেভাবে গোলের সুযোগ পেলে শট নিই সেভাবেই শট নিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত গোল করতে সক্ষম হই। এই রেকর্ড শেষমেশ গড়তে পারাটা বেশ স্বস্তিদায়ক। তবে রেকর্ড গড়া হয়ে গেলেও আশা করছি ভবিষ্যতে আরও অনেক গোল করব এবং দলকেও আরও অনেক ম্যাচ জেতাতে সক্ষম হব। তবে সবথেকে প্রয়োজনীয় হল দলের জন্য আমার যেন সকলকে একভাবে এক লক্ষ্যে খেলি।'

১৯৯৮ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন অঁরি। দেশের জার্সিতে ৫১টি গোল ছিল তাঁর। ফ্রান্স ফুটবলে কিংবদন্তি অঁরি। সেই তুলনায় জিহু কখনওই প্রচারের আলো পাননি। এমনকী, করিম বেঞ্জেমা ছিটকে না গেলে প্রথম দলে সুযোগই হতো না জিহুর। ব্যালঁ ডি'অর জয়ী বেঞ্জেমা চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। সেই কারণে সুযোগ পান জিহু। ফরাসি তারকার গোটা কেরিয়ারটাই এমন। এমবাপের মতো কোনও সময়েই তাঁকে 'বিস্ময় বালক'র তকমা দেওয়া হয়নি। শুরুটাও খুব সাধারণভাবে। অতীতে ফরাসি সমর্থকদের সমালোচনারও শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তবে তিনি কোনওদিনই হাল ছাড়েননি।

নিজের কেরিয়ারের বিষয়ে জিহুর মত, 'আমি বিগত ১১ বছর ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলছি। দলের হয়ে অনেক সাফল্য পেয়েছি, আবার বহু হতাশারও সাক্ষী থেকেছি। তবে সবকিছুর মধ্যেও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিজের কাজটা চালিয়ে যাওয়া। প্রতি পদক্ষেপে দলের স্বার্থে নিজেকে আরও উন্নত করার প্রয়োজন। দলের হয়ে কটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি, কোন ভূমিকায় খেলছি, তা এখন খুব একটা জরুরি নয়, দলের হয়ে সবটা উজার করে দেওয়াই আসল।' 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours