বেশ কয়েক বার রঞ্জি জয়ের সামনে থেকে ফিরতে হয়েছে। এ বার শুরুটা ভালো হল। তবে অনেকটা পথ বাকি। বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি জানিয়ে দিলেন, এ মরসুমে বাংলাকে ট্রফি দিয়েই অবসর নিতে চান।


রঞ্জি অভিযানে অনবদ্য় শুরু বাংলার। ঘরের মঠে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটের জয়। প্রথম ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ ৬ পয়েন্ট তুলে নিল বাংলা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে একটা সময় ব্যাকফুটে ছিল বাংলা। সেখান থেকে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বোলাররা দাপট দেখিয়েছেন। তেমনই ব্যাট হাতে ভরসা দিলেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার, অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিরা। যোগ্য় সঙ্গ দিলেন বাঁ হাতি ওপেনার কৌশিক ঘোষ। পিচ, পরিস্থিতির নিরিখে ২৫৭ যথেষ্ট বড় লক্ষ্য। ৪ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যপূরণ বাংলার। বিস্তারিত রিপোর্ট 

প্রত্যাবর্তন একেই বলে। প্রথম ইনিংসে ঈশান পোড়েলেন অনবদ্য বোলিং। ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশকে মাত্র ১৯৮ রানে অলআউট করে বাংলা। একই সমস্য়ায় পড়েছিল বাংলাও। তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৬৯ রানে। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকায় চাপ ছিল বাংলার বোলারদের উপর। দ্রুত উত্তরপ্রদেশকে অলআউট করতে না পারলে ম্য়াচ হাত থেকে বেরিয়ে যাবে। রিঙ্কু সিং, অক্ষদীপ নাথের সৌজন্যে কার্যত সেই পরিস্থিতিই তৈরি হচ্ছিল। যদিও বোলাররা ফের ম্যাচের রং বদলান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৭ রানে উত্তরপ্রদেশকে অলআউট করে বাংলা।

লক্ষ্য ২৫৭ হলেও বাংলার কাছে পর্যাপ্ত সময় ছিল। আর সেটাকেই কাজে লাগান বাংলার ব্যাটাররা। কৌশিক ঘোষ এবং অনুষ্টুপ মজুমদার বড় রানের জুটি গড়েন। ম্যাচের শেষ দিন প্রথম ওভারেই কৌশিক ঘোষ ৬৯ রানে ফেরেন। অনুষ্টুপের সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়েন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। জয়ের দোরগোড়ায় আউট হন অনুষ্টুপ। ততক্ষণে ৮৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন বাংলার এই অভিজ্ঞ ব্য়াটার। বাকি কাজ টুকু সম্পূর্ণ করেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন মন্ত্রীমশাই। দু-ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট। ম্যাচের সেরা হন ঈশান পোড়েল।

ম্যাচ জিতলেও বেশ কিছু বিষয়ে উন্নতির কথা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির মুখে। বিশেষত ওপেনিং জুটি ভালো না হওয়ায় চিন্তিত তিনি। প্রথম ইনিংসে অভিষেক দাস ৮ রান করেন। কৌশিক রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে কৌশিক রান করলেও দুই ইনিংসেই ব্য়র্থ অভিষেক দাস। পরবর্তী ম্য়াচে এই বিষয়গুলোয় নজর থাকবে বলেই জানান মনোজ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours