গরু পাচার মামলায় একযোগে তদন্ত করছে ইডি ও সিবিআই। ইতিমধ্যেই অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সহ একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে তলব করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।




এবার সাঁড়াশি চাপে অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করবে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার ইডি-কে জেরা করার অনুমতি দিল আসানসোল সিবিআই আদালত।

আদালতের নির্দেশ, ইডি-র আধিকারিকরা এবার আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে পারবেন। যে কোনও দিন সকাল ৮ টা দিকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন। সঙ্গে ল্যাপটপ সহ প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে পারবেন তাঁরা। ইডির তরফে এক আইনজীবী এদিন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে যান। ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র জানিয়েছেন, তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

গরু পাচার মামলায় একযোগে তদন্ত করছে ইডি ও সিবিআই। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ইডি দফতরে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সহ একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে তলব করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেই তালিকায় রয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন পরিচারক তথা বোলপুরের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছেন মলয় পিট, ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য। অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি কতটা? কাদের অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল গরু পাচারের টাকা? তা খতিয়ে দেখতে চান গোয়েন্দারা। সেই কারণেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে ইডি। বর্তমানে সায়গল রয়েছেন তিহার জেলে। এই মামলার আরও এক অভিযুক্ত এনামুল হকও তিহার জেলে রয়েছেন। তাই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হবে কি না, সেই প্রশ্ন সামনে আসছিল। তবে আপাতত তাঁকে আসানসোলের জেলে গিয়েই জেরা করা হবে।


এদিক, আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। শুক্রবারই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। মূলত প্রভাবশালী তত্ত্বেই এদিন খারিজ হয়ে গিয়েছে অনুব্রতর জামিনের আবেদন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours