বৃহস্পতিবার নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হেঁটেছেন। এবার তা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন মোদী।

গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Assembly Election 2022) আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই দুই দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মোদী-শাহের রাজ্যে। তাই তিনদিনের সফরে গুজরাটে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই তিনদিনে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলেছেন মোদী। রবিবার গুজরাটের ধোরাজিতে সভা করেন তিনি। এই সভা থেকে নাম না করে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেন তিনি।



এদিন সভাতে বক্তৃতা রাখার সময় মোদী বলেছেন, ‘এক মহিলার সঙ্গে এক কংগ্রেস নেতাকে পদযাত্রা করতে দেখা গিয়েছে। এই মহিলা তিন দশক ধরে নর্মদা বাঁধ প্রকল্প আটকে রেখেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা নর্মদা বাঁধের বিরুদ্ধে ছিলেন তাঁদের কাঁধে হাত রেখে পদযাত্রা করছেন। নর্মদা বাঁধ না হলে কী হত।’ শনিবার মহারাষ্ট্রে ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশ নেন মেধা পাটকর। নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের খুব পরিচিত মুখ ছিলেন মেধা পাটকর। নর্মদা নদীর উপর বিভিন্ন বাঁধ তৈরি হওয়া নিয়ে এই আন্দোলন শুরু হয়। রাজকোটের ধোরাজিতে সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় মোদী বলেছেন, অনেকে নর্মদা নদীর উপর সর্দার সরোবর বাঁধ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করেছিল। তিনি বলেন, ‘কচ্ছ ও কাঠিয়াওয়াড় অঞ্চলের বাসিন্দাদের তৃষ্ণা মেটানোর একমাত্র উপায় ছিল নর্মদা প্রকল্প। আপনারা দেখেছেন গতকাল কংগ্রেস নেতা কীরকম একস মহিলার সঙ্গে পদযাত্রায় বেরিয়েছিলেন। ওই মহিলা একজন নর্মদা-বিরোধী কর্মী। আইনি জটিলতা তৈরি করে তিনি ও অন্যান্যরা মিলে এই প্রকল্পকে তিন দশক ধরে আটকে রেখেছিলেন।’ রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেছেন, ‘যখন কংগ্রেস আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসবে আমি চাই আপনারা তাঁদের প্রশ্ন করুন। তাঁদের ব্যাখ্যা করতে বলুন তাঁরা কোন মুখে ভোট চাইছেন যেখানে তাঁদের নেতা সেই মহিলার সঙ্গে পদযাত্রায় বেরিয়েছেন। ওই মহিলা নর্মদা প্রকল্পের বিরুদ্ধে ছিলেন। কংগ্রেসকে এই প্রশ্ন করার জন্য আমি আপনাদের কাছে আবেদন করছি।’

এদিন মোদী বলেছেন, এই সমাজকর্মীরা এই প্রকল্পের এত নিন্দা করেছিলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে তহবিল আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি এদিন আরও বলেছেন, গুজরাটে গত ২০ বছর ধরে বিজেপির সরকার বিভিন্ন উপায়ে জল সঙ্কট দূর করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে। নতুন কুয়ো খোড়া, হ্রদ তৈরি, পাইপলাইন দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে। তিনি বলেছেন, ‘আজ গোটা কচ্ছ-কাথিয়াওয়াড় এলাকা পাইপলাইনের মাধ্যমে জল পাচ্ছে। আমরা কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিশ্বাসী। আমরা বুঝতে পারি উন্নয়নের জন্য জল ও বিদ্যুৎ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেসের সরকার শুধুমাত্র পাম্প ইনস্টল করতে ব্যস্ত থাকে।’ প্রসঙ্গত, আগামী ডিসেম্বরেই গুজরাটে নির্বাচন। আর প্রথম দফায় ১ ডিসেম্বরই ভোট হবে ধোরিয়াজি এলাকায়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours