নির্দলের সমর্থনে কংগ্রেসের রণকৌশল। আর তাতেই ঝালদা পুরসভায় জোর ডামাডোলের মুখে তৃণমূলের বোর্ড।
মেরেকেটে ৭ মাস। এরমধ্যেই দখলে থাকা ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality) হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। কারণ, নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর ক্যাম্প বদল করেছেন। এতেই বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে শাসক শিবির। সোমবার আস্থা ভোটেই ঠিক হয়ে যাবে, কার হাতে থাকবে ঝালদা পুরসভা।
ত্রিশঙ্কু ফলাফলে কে বোর্ড গঠন করবে? সেই সময় দুই নির্দল প্রার্থী শীলা চ্যাটার্জি এবং সোমনাথ কর্মকারকে নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। সোমনাথ কর্মকার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল, দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ভোটের পর শীলা চ্যাটার্জি যোগ দেন তৃণমূলে। ৬ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে বোর্ড দখল করে নেয় তৃণমূল।
কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর মৃত্যুতে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জোর আন্দোলনে নামে হাত শিবির। উপনির্বাচনে জয়ী হন তাঁর ভাইপো মিঠুন কান্দু। এরই মধ্যে অঘটন। সাত মাস আগে, যাঁর সমর্থন পেয়ে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল, সেই শীলা চট্টোপাধ্যায় অনুন্নয়নের অভিযোগে তৃণমূলের থেকে সমর্থন তুলে নেন। এরপরই অনাস্থা ঘোষণা করে হাত শিবির। গদি বাঁচাতে আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের পর, হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ঝালদা পুরসভায় তলবি সভার পর আস্থা ভোটের সম্ভাবনা। কংগ্রেসের দাবি, তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ২ নির্দল প্রার্থী। ফলে বোর্ড দখলে আত্মবিশ্বাসী হাত শিবির।
ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস নেত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। কারণ সংখ্যা গরিষ্ঠতা আমাদেরই বেশি। তাই জয় আমাদেরই হবে।’ এত কিছুর পরেও হাল ছাড়তে নারাজ শাসক শিবির। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি চিরঞ্জীব চন্দ্র বলেন, ‘পুরবোর্ড দখল আমরাই করব। কাউন্সিলর থেকে সাধারণ মানুষ এটা জানেন তৃণমূল ছাড়া আর কিছু সম্ভব নয়। নিজ স্বার্থ পূরণে কিছু মানুষ খেলছে।’
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ঝালদায় বড় ঝামেলার মুখে তৃণমূল কংগ্রেস। কার হাতে থাকবে ক্ষমতা? উত্তরের অপেক্ষায় ঝালদাবাসী। তলবি সভাকে ঘিরে পুরসভা চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা। মোতায়েন পুলিশ বাহিনী।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours