বুধবারই শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট নিয়েছেন, কেউ যদি ভেবে থাকেন ডিসেম্বরে সরকার বদল হবে, তাহলে তাঁরা ভুল ভাবছেন।
ডিসেম্বরে বড় ধামাকা হবে, একথা বলে বঙ্গ বিজেপির নেতারা ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে শাসক দলের ওপর। সরকার পড়ে যাবে, এমন জল্পনাও উস্কে দিয়েছেন কেউ কেউ। আর সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছেন, সরকারের ৮০ শতাংশ লোক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এই প্রসঙ্গেই এবার শুভেন্দুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর দাবি, আদতে বিজেপির ৯০ ভাগ লোক যোগাযোগ রেখেছেন তৃণমূলের সঙ্গে। বুধবার হলদিয়ায় এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘বিজেপি নেতাদের সঙ্গে শুভেন্দু মিটিং করলে, ৫ মিনিট পর বলে দিতে পারব মিটিংয়ে কী আলোচনা হয়েছে।’ ডিসেম্বর মন্তব্য নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করতে ছাড়লেন না কুণাল ঘোষ। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে বলেই এদিন মূলত সরব হন তিনি।
ডিসেম্বরে ঠিক কী হবে, এ নিয়ে যখন গেরুয়া শিবিরের নেতারা একেক রকম মন্তব্য করছেন, তখন বুধবারই শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট নিয়েছেন, কেউ যদি ভেবে থাকেন ডিসেম্বরে সরকার বদল হবে, তাহলে তাঁরা ভুল ভাবছেন। তাঁর দাবি, ডিসেম্বরে রাজ্যের সবথেকে বড় ‘চোর’ ধরা পড়বে। বিধায়ক ভাঙিয়ে নয়, ভোটে জিতে সরকার গড়বে বিজেপি, এমনটাই দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণালের কটাক্ষ, ‘শুভেন্দু ক্রমশ পিছু হঠছেন।’ কুণাল বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বড় বড় কথা বলছিলেন শুভেন্দু, এখন বলছেন, ভোটে জিতে আমরা সরকার গড়ব। তৃণমূল তো তাই করেছে। এমন ভাবভঙ্গি করছে যেমন সামনেই ভোট। তোমরা তো সবে হেরে এসেছ। ধৈর্য ধরতে শেখো।’ শুভেন্দুর কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতিও সমর্থন করেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, অভিষেকের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে এদিন সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ। চার্জশিটের অংশ বলে যে লেখার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন হল, চার্জশিটের অংশ বলে যেটা ছড়ানো হচ্ছে সেটা আসলে তদন্তকারী সংস্থা এবং আদালতের হেফাজতে থাকার কথা। তাহলে নীল কালিতে লেখা অংশ হোয়াটস অ্যাপে ছড়িয়েছে কী করে? এজেন্সির কেউ কি পরিকল্পিতভাবে ছবি তুলে বিজেপির অফিসে পাঠিয়ে দিচ্ছে? কুণাল বলেন, ‘আমাদের ভাবতে কষ্ট হচ্ছে, ইডি-র অফিসে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা আশা করব ইডি, সিবিআই তাদের প্রতি যে ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্যতা সেটা অটুট রাখবে।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours