মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালত জানাবে, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হবে কি না। যদি আদালত তা জারি করে নিঃসন্দেহে চাপ বাড়বে কেষ্টর।

গ্রেফতারের পর অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) একদিকে যখন দিল্লি নিয়ে যেতে মরিয়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED), তখন অনুব্রতর এক সময়ের ছায়াসঙ্গী সেহেগল হোসেনের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হল। ইতিমধ্যেই ইডি তাঁকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে। শুক্রবার ছিল সেহগল-মামলার শুনানি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত নির্দেশ দেয় আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে সেহেগলকে। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেহেগলের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

অন্যদিকে এই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় ইডি এবং সেটা দিল্লিতে। বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’কে রাজধানীতে নিয়ে যেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবারই প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টার টানা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসানসোল সংশোধনাগারে অনুব্রতকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে ইডি। যেহেতু অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে ইতিমধ্যেই জেলে আছেন, তাই এই ‘শোন অ্যারেস্ট’।

শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে কেষ্টর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন জানায় ইডি। এই আবেদনের শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার। ওয়ারেন্ট জারি হলেই কেষ্টকে আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি। কিন্তু কেন ইডি দিল্লি নিয়ে যেতে চায় অনুব্রতকে?

সূত্রের খবর, সেখানেই সেহেগল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হতে পারে। একইসঙ্গে অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সামনে বসিয়েও জেরা করা হতে পারে অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সঙ্গে এই মামলার তদন্তে নেমে বিপুল সম্পত্তি, ব্যাঙ্কে গচ্ছিত বিপুল টাকারও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এ নিয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করতে চায় ইডি।

মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালত জানাবে, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হবে কি না। যদি আদালত তা জারি করে নিঃসন্দেহে চাপ বাড়বে কেষ্টর। দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। সেখানে জেল হেফাজত দেওয়া হলে তিহাড় জেলে পাঠানো হতে পারে। যেখানে সেহেগল, এনামূলরা রয়েছেন। তবে চাইলে অনুব্রত হাইকোর্টে যেতে পারেন, যেতে পারেন সুপ্রিম কোর্টেও।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours