থমাস মুলার এবং ইকে গুন্ডোগান, ৬৭ মিনিটে এই জোড়া পরিবর্তনই বিপদ বাড়ায় জার্মানির।
কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) ফের অঘটন। চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে (Germany) হারিয়ে দিল এশীয় শক্তি জাপান। বল পজেশন হোক বা গোলে শট। অনেক এগিয়ে ছিল জার্মানি। জাপানের তুলনায় নিঃসন্দেহে শক্তিশালী জার্মানরা। সমানে সমানে লড়াইয়ের মরিয়া চেষ্টা চালালেন জাপানের ফুটবলাররাও। প্রথমার্ধে শুধুমাত্র লড়াই। দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টা লড়াই জাপানের। জার্মানি এগিয়ে যায় ম্যাচের ৩৩ মিনিটে। সেটাও পেনাল্টি গোলে। একঝাঁক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারছিল না জার্মানি। জাপান রক্ষণ অনবদ্য পারফর্ম করল। তেমনই প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডার। দুই পরিবর্ত ফুটবলারের গোলে কাতারে জাপানের সূর্যোদয়। বিস্তারিত
বিরতির ঠিক আগের মুহূর্তে জাপানের জালে বল ঢোকান কাই হাভার্ৎজ। আশঙ্কা ছিল অফসাইডের। ভিএআরে তাই ধরা পড়ল। গোল বাতিল হল। ১-০ এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গিয়েছিল জার্মানি। রমকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন জাপান গোলরক্ষক গোন্ডা। পেনাল্টি পায় জার্মানি। ৩৩ মিনিটে ইকে গুন্ডোগানের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বল নিয়ে থমাস মুলারের অনবদ্য দৌড়। পাস করেন ডানদিকে। সার্জ ন্যাব্রি শট নিলেও তা লক্ষ্যে ছিল না। জাপান স্কোয়াডের ৮জন ফুটবলার জার্মানির বিভিন্ন ক্লাবে চুক্তিবদ্ধ। ফলে সেখানকার খেলার স্টাইল তাদের কাছে অজানা নয়। সেই অভিজ্ঞতাও যেন কাজে লাগালেন তারা।
জার্মানি ১ (ইকে গুন্ডোগান)
জাপান ২ (রিতসু দোয়ান, তাকুমা আসানো)
জাপানের বিরুদ্ধে ম্যাচে জার্মান শিবিরে বাড়তি নজর ছিল জামাল মুসিয়ালার দিকে। তাঁকে মেসির সঙ্গেও তুলনা করা হয় এখন থেকেই। দ্বিতীয়ার্ধে জাপান বক্সে অনবদ্য বল প্লে জার্মানির তরুণ ফুটবলার মুসিয়ালার। যদিও শট টার্গেটে রাখতে পারেননি। জার্সিতে মুখ ঢেকে বুঝিয়ে দেন কতটা হতাশ তিনি। বক্সের মধ্যে থেকে শট নিয়েও ক্রসবারের উপরে। বক্সের মধ্যে আরও একবার অনবদ্য বল প্লে মুসিয়ালার। দুর্দান্ত পাস বাড়ান আনমার্কড গুন্ডোগানকে। তাঁর শট পোস্টে লাগে। ব্যবধান বাড়ানোর অনবদ্য সুযোগ ছিল গুন্ডোগানের। বিশ্বকাপ অভিষেকেই নজর কাড়লেন জার্মান তরুণ।
জার্মানি কোচ হ্যান্সি ফ্লিক সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনলেন ৬৭ মিনিটে। এক সঙ্গে জোড়া পরিবর্তন। থমাস মুলার এবং ইকে গুন্ডোগানকে তুলে দেন ফ্লিক। জাপানের দুই পরিবর্তনই রং পাল্টে দিল। ৫৭ মিনিটে নামানো হয় তাকুমা আসানো এবং ৭১ মিনিটে রিতসু দোয়ান। সুপার সাব হয়ে উঠলেন তাঁরা। ৭৫ মিনিটে রিতসুর গোলে সমতা ফেরায় জাপান। ৮৩ মিনিটে জয়সূচক গোল তাকুমা আসানোর।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours