তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল।

বিজেপি কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল। রবিবার ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের (Coochbehar) শীতলখুচিতে (ShitalKhuchi)। অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। আহত বিজেপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় এমজেএন মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



শীতলখুচির ঝাউবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ১৮২ নম্বর বুথে এদিন বিজেপির বুথ সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন সুভাষ সরকার। এদিন বিকালে কার্গিল বাজারে সুভাষ সরকার-সহ কিছু বিজেপি কর্মী গেলে তাঁদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের লোকেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শীতলখুচির বিধায়ক বরেণ বর্মণ এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোট আসছে বলে শাসকদল এলাকায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চাইছে। সে কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। যারা এই ঘটনায় যুক্ত, তাদের দ্রুত শাস্তির দাবি করেন বিধায়ক।

বিধায়ক বরেণ বর্মণ বলেন, “রবিবার বিজেপির ১৮২ নম্বরের বুথ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সুভাষ সরকার। ঝাড়বাড়ির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই নির্বাচন হয়। উনি নির্বাচিত হওয়ার পর বিকেলে কার্গিল বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানে সুভাষ সরকারকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তা নিন্দার। তৃণমূলের সন্ত্রাস, এই আচরণ লজ্জার। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিতে হবে।”

এদিন সুভাষ সরকারের সঙ্গে বাজারে গিয়েছিলেন আরও কয়েকজন বিজেপি কর্মী। তাঁদেরই একজন সুকুমার সরকার বলেন, “তৃণমূলের লোকজন একত্রিত হয়ে এসব করেছে। আমি বাজারে গিয়েছিলাম। ওরা আমাকেও ছাড়েনি। একজন তো কোমর থেকে পিস্তল বের করে। আমাকে বলছে মেরে দেবে। লোকজন ছুটে আসতেই লুকিয়ে ফেলে পিস্তলটা। তখন কিল ঘুষি মারতে শুরু করে।”

স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদের বক্তব্য, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজেরা নিজেরা গন্ডগোল করছে বিজেপি। আর তৃণমূলের উপর দোষ দিতে চাইছে। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours