১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন এক মহিলা পুলিশকে গায়ে হাত দিতে নিষেধ করতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দুকে। ওই ঘটনা নিয়ে বিস্তর চাপানউতরও হয় রাজনৈতিক মহলে।

সেদিন কামড়ানোর সুযোগ দিইনি’, টেট আন্দোলকারীকে (TET Agitators) পুলিশের কামড় প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ফের নতুন করে ডোন্ট টাচ বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, বুধবার টেট প্রার্থীদের আন্দোলনে ক্যামাক স্ট্রিট চত্বর যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তখনই এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসে। এক আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীর ছবি ও ভিডিয়ো তারপর থেকেই ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। তাতে তাঁর হাতে ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট। এ ঘটনায় নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে রাজনৈতিক মহল থেকেও। 



এবার এ ঘটনা নিয়ে খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মুখ খোলায় ফের শুরু হয়েছে চাপানউতর। এদিন শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “পুলিশ যে কামড়াতে পারে ধারণা ছিল না। এই লেডি ব্রিগেড আমার ওপরও চড়াও হয়েছিল। আমার সময়ে যারা ঘিরেছিল সবাই স্পোর্টস ড্রেসে ছিল। আগে থেকেই সবটা পরিকল্পনা করা ছিল। ওরা চেয়েছিল ওই মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে আমার হাতাহাতি হোক। আমি সেদিন কামড়ানোর সুযোগ দিইনি। আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। ” প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন এক মহিলা পুলিশকে গায়ে হাত দিতে নিষেধ করতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দুকে। “ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর লেডি, আই অ্যাম মেল। একজন মহিলা পুলিশ কর্মী হয়ে আমার গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? আমি গায়ে হাত দিতে দেব না।” ক্যামেরার সামনেই এ কথা বলতে শোনা গিয়েছিল শুভেন্দুকে। যা নিয়ে শুভেন্দুর গিকে লাগাতার চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল মদন-কুণালের মতো তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের। 

এদিকে আন্দোলনকারীকে কামড়ানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসছে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ইভা থাপার নাম। তবে ইভা কামড়ালেও তাঁর হাতে পাল্টা কামড়ে দিয়েছিলেন অরুণিমা। এমনই দাবি কলকাতা পুলিশের। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে অরুণিমাই নাকি প্রথম পুলিশের হাত ছাড়ানোর জন্য ইভার হাতে কামড়ান। তারপর রেগে গিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন ইভা। তখন তিনি অরুণিমার হাতে পাল্টা কামড় দেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours