ওএমআর শিট প্রসঙ্গেও পর্ষদ সভাপতি জানান, কিছুই পোড়ানো হয়নি। রিসাইকেল করা হয়েছে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছিল। সেইমতো ২০১৪ সালের টেট (TET 2014) উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর প্রায় সাত বছর পার করে প্রকাশিত হল তালিকা। অথচ সে তালিকাও ‘অসম্পূর্ণ’। সে তালিকাকেও রয়ে গেল ত্রুটি। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জনের নম্বর প্রকাশ করেছে পর্ষদ। কিন্তু নম্বরের তালিকার ক্ষেত্রে একাধিক নামের জায়গা ফাঁকা রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও আবার নাম রয়েছে নম্বর নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন এই জায়গা ফাঁকা রয়ে গেল উঠছে প্রশ্ন।
এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের ব্যাখ্যা, “যেগুলো নেই দু’ একদিনের মধ্যে আমরা তা ক্ল্যারিফাই করে দেব। অনেক ক্ষেত্রে রোল নম্বর রয়েছে। রোল নম্বর তো ইউনিক আইডি। একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকেন। ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিন্তু অনেকটা। আমরা এটা মহামান্য আদালতের নির্দেশ ছিল, তাকে মান্যতা দিয়ে প্রকাশ করেছি। এটা কিন্তু খুব একটা সরল কাজ নয়। যদি দু’ একটি ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকে, সেটাকে আমরা সংশোধন করে নেব।”
কিন্তু এ প্রসঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে। এই নম্বরের ক্ষেত্রে ওএমআর শিট দেখা দরকার। কিন্তু ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, সেই ওএমআর শিট অবশিষ্ট নেই। তা পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগও উঠেছে। এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি বলেন, “এটা খুব ভুল ধারণা। কোথাও কি পর্ষদ বলেছে ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে? ওএমআর শিট রিসাইক্লিং হয়। কোনও একটা জিনিস বিভিন্ন জায়গার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের, বিভিন্ন পরীক্ষার খাতা রিসাইক্লিং করা হয়। আমাদের ওএমআর শিট রিসাইক্লিং হয়েছে, পোড়ানো হয়নি। আন্দোলনরত যাঁরা প্রার্থীরা যে বারবার বলছেন পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। তাঁদের তথ্য সংরক্ষিত আছে ডিজিটাল ফরমাটে। প্রত্যেকের ডেটা আছে। এই যে ফল প্রকাশ করলাম, তা হলে কোথা থেকে পেলাম?”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours