মাইলেজ পেতে পারে ঘাসফুল শিবির, দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বিলে সই রাজ্যপালের।


বাংলার নতুন রাজ্যপালের (Bengal new Governor) মসনদে বসেছেন সি ভি আনন্দ বোস(Dr. C.V. Ananda Bose)। একদিন আগেই হয়েছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথের দিনেই দিয়েছেন উন্নয়নের বার্তা। দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজও শুরু করে দিলেন নতুন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (পরিচয়) (সংশোধন) বিল ২০২২-এ সই করলেন তিনি। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসে এই বিল পাশ হয় বিধানসভায়। তারপর থেকে তা ছিল রাজ্যপালের অনুমোদনের অপেক্ষায়। যদিও যখন এই বিল পাশ হয় তখন রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্বে ছিলেন লা গণেশন। তিনিও তাঁর সময়কালে কিছু বিলে সই করলেও এই বিলটির ক্ষেত্রে মেলেনি রাজভবনের সবুজ সংকেত। 



প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত এসসি, এসটি শংসাপত্রের জন্য একবার আবেদন করা যেত। উচ্চতর কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন খারিজ করলে আবেদনের সুযোগ ছিল না। নয়া এই বিলের হাত ধরে এবার খারিজের পরে আরও একবার আবেদন করা যাবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, বছর পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট। ইতিমধ্যেই তার সলতে পাকানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। চড়ছে রাজনীতির পারদ। অন্যদিকে ২০২৪ সালে আবার রয়েছে লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যেই দেশের রাষ্ট্রপতি পদেও এসেছে বড় বদল। দেশ পেয়েছে প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। মসনদে বসেছেন দৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি পদে তিনি বসার পর থেকেই আদিবাসী সমাজের মন পেতে আসরে নেমে পড়েছে মমতা। সেখানে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (পরিচয়) (সংশোধন) বিল ২০২২ এর হাত ধরে ঘাসফুল শিবির আদিবাসীদের মন জিততে পারে কিনা এখন সেটাই দেখার। 


সাম্প্রতিককালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাহ্যিক গঠন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি। পথে নামে আদিবাসী সমাজের একাংশ। ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমা চান অখিলও। এমতাবস্থায়, এই বিলের খাতায়-কলমে বাস্তবিক প্রতিফলন দেখতে পাওয়া গেলে তা মমতা ব্রিগেডকে নতুন করে অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশ।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours