অন্যদিকে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দাপট দেখিয়ে সপ্তম এশিয়া কাপ তুলে নিলেন স্মৃতি মান্ধানারা। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে সবেতেই ভারত মাত করল শ্রীলঙ্কাকে


সপ্তম স্বর্গে হরমনপ্রীত কৌরের ভারত (India)। এক নয়, গুনে গুনে আট বার মহিলাদের এশিয়া কাপের ফাইনালে (Women’s Asia Cup 2022) উঠেছিল ভারত। তার মধ্যে সাত বার এশিয়া সেরা হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সিলেটে আজ এ বারের মেয়েদের এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল হরমনপ্রীত কৌরের ভারত ও চামারি আতাপাত্তুর শ্রীলঙ্কা। এর আগে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মোট ৪ বার সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই দলের। সেই চার বারই রানার্স হয়েছিল লঙ্কানরা। ফের এক বার ভগ্নহৃদয় নিয়ে, এশিয়া কাপ রানার্স তকমা পেয়ে মাঠ ছাড়ল শ্রীলঙ্কা। আর অন্যদিকে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দাপট দেখিয়ে সপ্তম এশিয়া কাপ তুলে নিলেন স্মৃতি মান্ধানারা। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে সবেতেই ভারত মাত করল শ্রীলঙ্কাকে। ফাইনালে ভারতের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছেন রেনুকা সিং। ফলে ম্যাচের সেরার পুরস্কারও গিয়েছে তাঁর ঝুলিতে। পাশাপাশি প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার ঝুলিতে ভরেছেন দীপ্তি শর্মা (৯৪ রান, ১৩টি উইকেট)।




চামারিদের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ফাইনালে অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হয়েছে রেনুকা সিংয়ের। ৩ ওভার বল করে ১টি মেডেনসহ ৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন রেনুকা। এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে রেনুকা বলেন, “আমি আজ ভীষণ খুশি। গত কয়েকটা ম্যাচে ভালো বোলিং করতে পারিনি। কোচের পরামর্শ নিই, কঠোর পরিশ্রম করি। সেটাই কাজে লেগেছে। আজও নতুন কিছু চেষ্টা করিনি, যেমন পারফর্ম করি সেটাই করে গিয়েছি। ক্যাপ্টেন, কোচসহ পুরো দলকে পাশে পেয়েছি।” রেনুকা এই সব বলতে বলতে বার বার ফিরে তাকাচ্ছিলেন সতীর্থদের দিকে। তাঁর চোখে মুখেই ফুটে উঠছিল এশিয়া কাপ সেরা এবং ম্যাচের সেরা হওয়ার উচ্ছ্বাস।


ব্যাটে-বলে ছাপ ফেলে যাওয়া দীপ্তি পেলেন প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার। এ বারের এশিয়া কাপে আটটি ম্যাচে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন বাংলার দীপ্তি। ব্যাট হাতে তাঁর প্রাপ্তি ৯৪ রান। ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দীপ্তি বলেন, “আমি সত্যিই ভীষণ খুশি। আমরা প্রথম ম্যাচ থেকে ফাইনাল অবধি একটা ইউনিট হিসেবে খেলেছি। আমরা যেটা নিয়ে আলোচনা করতাম, সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। কোন জায়গায় বোলিং করলে সুবিধা পাব, সেটা মাথায় রেখেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমি বল করে গিয়েছি। পুরো টুর্নামেন্টে এই মানসিকতাই আমাকে সাহায্য করেছে। এখানকার উইকেট খুব স্লো। তাই বলের জন্য অপেক্ষা করতেই হয়। টুর্নামেন্টের আগে আমি আমার ব্যাটিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রমও করেছি। যেটা আমাকে সাহায্য করেছে। দলগত দিক থেকে বলতে গেলে, এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours