পরিদর্শনের পর মন্ত্রী ও বিভাগীয় কর্তারা জানান, অভয়ারণ্যের ভিতরে নদীর গতিপথে সাড়ে তিন কিলোমিটার অংশে কার্যত বড় বোল্ডার পড়ে রয়েছে, যা জলের গতিকে আটকে দিচ্ছে। এই অবরোধ না সরানো গেলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী বলেই আশঙ্কার কথা শোনা গেল তাঁদের গলায়।

 মালবাজারে নদীতে বিপর্যয়ের পর গতকালই মহানন্দা নদীতে হড়পা বানের আশঙ্কা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল টিভি নাইন বাংলায়। এবার সেই আশঙ্কার বার্তায় সিলমোহর দিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ও বন বিভাগের কর্তারা। শিলিগুড়িতে শনিবার মহানন্দা অভয়ারণ্যে এলাকায় নদী পরিদর্শনে এসেছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা। পরিদর্শনের পর মন্ত্রী ও বিভাগীয় কর্তারা জানান, অভয়ারণ্যের ভিতরে নদীর গতিপথে সাড়ে তিন কিলোমিটার অংশে কার্যত বড় বোল্ডার পড়ে রয়েছে, যা জলের গতিকে আটকে দিচ্ছে। এই অবরোধ না সরানো গেলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী বলেই আশঙ্কার কথা শোনা গেল তাঁদের গলায়।

সোমবার হেড অফ ফরেস্ট সৌমিত্র দাশগুপ্ত এবং বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন বলেন, “নাব্যতা হারিয়েছে মহানন্দা। এখানে বিপদের বড় আশঙ্কা রয়েছে। জঙ্গলের ভিতরের অংশে নদীর গর্ভে থাকা সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকায় পাথর তুলে জলধারাকে বয়ে যেতে দ্রুত পদক্ষেপ করবে বন বিভাগ।” তাঁরা আরও জানান, আইন মেনেই একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং জেলাশাসককে সঙ্গে নিয়ে প্রায় এক হাজার গাড়ি পাথর তুলে মহানন্দার জলধারা যাতে তার গতিপথ ধরে রাখতে পারে, সেই চেষ্টা করা হবে। তার আগে এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা করবে বন বিভাগ।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মালবাজারে নদীর গতি আটকে বাঁধ দিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের সময় এক মারাত্মক অঘটন ঘটে গিয়েছিল। মালবাজারে যে বিপর্যয় হয়েছিল, তা মাথায় রেখেই এদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জঙ্গল পথের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা অন্যান্য নদীর গতিপথেও কোনও বাধা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তাঁরা

এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, মহানন্দ নদীতে বেশ পলি জমে গিয়েছে। সেই পলি কীভাবে সরানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, বন দফতরের একটি বড় অংশ রয়েছে মহানন্দায়। এই পলি জমার ফলে বন্যপ্রাণীদের জল খাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণেই এই সমস্যা দূর করার ভাবনা রাজ্যের বন দফতরের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours