প্রসঙ্গত, এই বছর এপ্রিল মাসেই শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দেন জুঁই দাস। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক তথ্য সামনে আসে।


 জুঁই দাস, কেবল বরখাস্ত শিক্ষকই নন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর ভূমিকা মিডলম্যানের মতো। সিবিআই-এর দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে এই জুঁই দাসের নাম। তাঁর বাড়ি কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের টগরিয়ার গোপালপুরে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জুঁই দাস নেই। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা ও অসুস্থ স্বামী। তাঁরাই জানালেন, জুঁই দাস বাড়িতে নেই। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, জুঁই দাসের স্বামী অতনু ভুঁইঞাও কাঁথির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর্থিক ভাবে যথেষ্ট স্বচ্ছল। তাঁদের কাপড়, সোনা-জুতোর দোকান রয়েছে কাঁথিতে। ব্যবসার সূত্রে যথেষ্ট নাম ডাক রয়েছে অতনুর।


প্রসঙ্গত, জুঁই দাস ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। হাওড়ার গুঞ্জাপুর সহিবগঞ্জ বিশ্বলক্ষ্মী হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এই বছর এপ্রিল মাসেই শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দেন জুঁই। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক তথ্য সামনে আসে। এরপর যখন বরখাস্তের তালিকা বার হয়, তাতেও নাম থাকে জুঁই দাসের। প্রশ্ন উঠছে, কেন জুঁই দাস চাকরি আগেই ছেড়েছিলেন? জুঁই দাস এখন আর কাঁথিতে থাকেন না, সেটা তাঁর বাড়ির সদস্যরাই জানিয়েছেন। তবে কোথায় থাকেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে আর কিছু বলেননি তাঁরা। এমনকি মুখে কুলুপ এঁটেছেন পাড়া প্রতিবেশীরাও। তাঁদেরও দাবি, জুঁই-তাঁর স্বামীকে তাঁরা বাড়িতে ঢুকতে বেরোতে দেখেন না। জুঁইয়ের স্বামী অতনু একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমর্থক বলেও জানা যাচ্ছে।

কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিং, ইমাম মোমিন, অশোক সাহার নাম। পাশাপাশি নাম রয়েছে এসএসসির প্রাক্তন প্রোগ্রামিং অফিসার পর্ণা বসুর। নাম রয়েছে ৩ বরখাস্ত শিক্ষকেরও। এই তালিকাতেই নাম রয়েছে কাঁথির জুঁই দাসের। তদন্তকারীদের দাবি, জুঁই দাস নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসাবেই কাজ করতেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours